আওয়ামী লীগের কর্মসূচি: জেলাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার, ২৬ চেকপোস্ট
রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানী লাগোয়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ৩৬ ঘন্টায় নাশকতা প্রস্তুতির অভিযোগে জেলাজুড়ে বিশেষ অভিযানে অন্তত ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া, জেলার সড়ক ও মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ২৬টি স্থানে তল্লাশি চৌকি স্থাপনেরও কথা জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
এছাড়া, যেকোনো ধরনের নাশকতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী।

গত বছর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় গত ২৩ অক্টোবর ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায়ের জন্য আগামী ১৩ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করে। রায়ের দিনটিকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণায় চালাচ্ছে কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত রাজনৈতিক এ সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
এদিকে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুরে ১৪ প্ল্যাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। একই সাথে যেকোনা অনাকাঙ্খিত ঘটনা মোকাবেলায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর থেকে জেলাজুড়ে বিশেষ অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এসব অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় অন্তত ১৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি স্থানে নাশকতার চেষ্টাও করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, “এটা যেহেতু পূর্বঘোষিত কর্মসূচী তাই আমরা ১০ তারিখ থেকেই আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। সর্বক্ষেত্রে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া রিজার্ভ থেকেও ৫০ জন সদস্যকে বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “লকডাউন কর্মসূচি মোকাবেলায় জেলার ২৬টি স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা যাওয়ার সড়ক ও মহাসড়কগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সাথে আমাদের মোবাইল টিম ও যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।”





































