বাসযোগ্য নগরী গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই: অধ্যাপক আলিয়ার
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচনী মাঠে নতুন মুখ হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একজন পরিচিত নাম অধ্যাপক আলিয়ার হোসেন। তিনি লন্ডনের নর্থামব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান। রাজনৈতিকভাবে তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এক পরিবারের সন্তান— বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক হাজী মোজাফ্ফর আলী কন্ট্রাক্টরের নাতি, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আফজাল হোসেন ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আতাহার হোসেন সামসুর ভাতিজা এবং সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের ভাগ্নে।
বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক আলিয়ার হোসেন বলেছেন, তিনি বাসযোগ্য ও সুন্দর নগরী গড়তে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চান।
অধ্যাপক আলিয়ার বলেন, “রাজনীতিতে আসার মূল উদ্দেশ্য আমার উন্নয়নমূলক চিন্তা ও দায়িত্ববোধ। আমি নারায়ণগঞ্জের সন্তান হিসেবে এখানে পরিবর্তন দেখতে চাই। আমার কষ্ট লাগে যখন দেখি আমার জন্মস্থানের মানুষ দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। আমি আন্তর্জাতিকভাবে উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত—যদি বিদেশে পারি, তাহলে নিজের দেশের জন্য কেন পারব না? সেই চিন্তা থেকেই রাজনীতিতে এসেছি।”
তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জ ও বাংলাদেশের উন্নয়নে আমি সবসময় পাশে থাকব। রাজনৈতিক পটভূমি যাই হোক, জনগণের সেবা আমার অঙ্গীকার।”
রাজনৈতিক সহকর্মী ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে আলিয়ার বলেন, “আপনারা প্রত্যেকেই নেতা। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার কাঁধে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর দায়িত্ব থাকবে। সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করলে একদিন জবাবদিহি করতে হবে। প্রকৃত নেতা সে-ই, যে নিজের স্বার্থের আগে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়।”
তিনি বলেন, “রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতা নয়—রাজনীতি মানে জনগণকে বোঝা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, রাজনীতি ও অর্থনীতি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। দল যেই সিদ্ধান্ত নেবে আমি সেটি মাথা পেতে নেব, আর যদি মনোনয়ন পাই তাহলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগোব।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রসঙ্গে আলিয়ার হোসেন বলেন, “এই ৩১ দফার মূল লক্ষ্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে যদি আমরা কাজ করি, তাহলে রাষ্ট্র ও সমাজে পরিবর্তন সম্ভব। নিজেদের মধ্যে বিভাজন নয়, ঐক্যই হতে হবে আমাদের শক্তি।”
নির্বাচনী অঙ্গীকারের বিষয়ে আলিয়ার হোসেন বলেন, “নারায়ণগঞ্জে একটি বাসযোগ্য, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ নগরী গড়াই আমার লক্ষ্য। এখনো এখানে পর্যাপ্ত রাস্তা, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, শিল্প প্রতিষ্ঠান বা বিনোদনকেন্দ্র নেই। নদীগুলো দূষিত। আমি ইতিমধ্যে উন্নয়নের জন্য ১৬ দফা পরিকল্পনা তৈরি করেছি। যোগ্য মনে করলে আপনারা আমার পাশে থাকবেন, সমর্থন দেবেন, দোয়া করবেন। আর যদি মনোনয়ন না-ও পাই, তবু আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব।”
শেষে তিনি বলেন, “চলুন, এখন থেকেই আমরা ঐক্যবদ্ধ হই—সবার মিলিত প্রচেষ্টায় নারায়ণগঞ্জকে আবারও গড়ে তুলি একটি বাসযোগ্য, সুন্দর ও মানবিক নগরী হিসেবে।”





































