আইভীকে কারাগারে রাখতেই নতুন মামলা: ডেভিড বার্গম্যান
ছয় মাস ধরে কারাবন্দি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী পাঁচটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর নতুন করে কয়েকটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের কঠোর সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী ডেভিড বার্গম্যান।
বুধবার (১২ নভেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “দেখে মনে হচ্ছে, যতদিন সম্ভব তাকে কারাগারে বন্দি রাখাই আসল উদ্দেশ্য। যখনই তিনি কয়েকটি মামলায় জামিন পান, তখনই নতুন সাজানো মামলা দায়ের করা হচ্ছে তাকে কারাগারে রাখার জন্য। জাতীয় নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ ঠেকাতেই যে এটি করা হচ্ছে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।”
রোববার দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আইভীকে পাঁচটি মামলায় জামিন দেন।
তবে ওই দিনই নারায়ণগঞ্জ সদর ও ফতুল্লা মডেল থানায় করা দুটি মামলা এবং পরদিন সোমবার ফতুল্লা থানায় দায়ের করা আরও দুটি মামলায় আইভীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। এসব আবেদনের শুনানির জন্য ১৩ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছে আদালত।
ডেভিড বার্গম্যান তার পোস্টে আরও লেখেন, “এটি লজ্জাজনক যে, হাইকোর্ট আইভী রহমানকে পাঁচ মামলায় জামিন দেওয়ার পরদিনই পুলিশ আরও কিছু মামলায় নতুন করে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছে। অথচ প্রাথমিকভাবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ কর্তৃপক্ষ হাজির করতে পারেনি।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, “এটি ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার নির্লজ্জ অপব্যবহার। ঊর্ধ্বতন কোনো সরকারি কর্মকর্তা, কিংবা পুলিশ বা বিচার বিভাগের কোনো উচ্চপদস্থ সদস্য এর নিন্দা করার বা এটি বন্ধ করার সাহস দেখাননি, সেটিই সবচেয়ে লজ্জার।”
জুলাই আন্দোলনে দায়ের করা হত্যা মামলাগুলো নিয়ে বার্গম্যান বলেন, “যদি প্রমাণ হাজির করতে না পারে, তাহলে এসব হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সবাইকে অন্তত তাৎক্ষণিকভাবে জামিন দেওয়া উচিত।”
তিনি শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিতির প্রমাণ হিসেবে ছবি, ভিডিও বা মোবাইল জিও-লোকেশন তথ্য; হত্যায় সরাসরি সম্পৃক্ততার অডিও বা ডিজিটাল প্রমাণ; অথবা কমান্ড চেইনের অংশ হিসেবে নির্দেশ দেওয়া বা নেওয়ার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকতে হবে। অন্যথায়, এসব মামলায় কাউকে আটক রাখা অন্যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।





































