ভিক্টোরিয়ায় রবিবার থেকে পাওয়া যাবে ’সিবিসি’ ও ’ইসিজি’ সেবা

শিল্পাঞ্চল নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারি জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে যুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক সেল কাউন্টার (সিবিসি) ও পোর্টেবল ইসিজি মেশিন। এর মাধ্যমে রক্ত পরীক্ষা ও হার্টের জরুরি ইসিজি সেবা এখন থেকে আরও দ্রুত ও নির্ভুলভাবে পাওয়া যাবে।
এর আগে হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করা হতো এবং হার্টের রোগীদের জন্য কোনো পোর্টেবল ইসিজি মেশিন ছিল না।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় “গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ” কর্মসূচির আওতায় জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এই দুটি যন্ত্র হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। পরে তিনি কর্মরত চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, “একটি সুস্থ জাতি গঠনের জন্য মানুষের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা দুটোই সমানভাবে প্রয়োজন। নারায়ণগঞ্জের কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “‘সিবিসি’ বা ‘কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট’ মেশিনের মাধ্যমে হিমোগ্লোবিন, রেড ও হোয়াইট ব্লাড সেল, প্লেটলেট কাউন্টসহ ডেঙ্গু শনাক্তের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। রোববার থেকে এই মেশিনের কার্যক্রম শুরু হবে। পাশাপাশি হার্টের রোগীদের জন্য দুটি পোর্টেবল ইসিজি মেশিনও দেওয়া হয়েছে।”
জাহিদুল ইসলাম মিঞা আরও যোগ করেন, “হাসপাতালে সরাসরি উন্নত চিকিৎসা হয়— এমন আস্থা মানুষের মধ্যে ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্যে জেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই আধুনিক যন্ত্রগুলো প্রদান করা হয়েছে।”
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, “আগে এখানে অটোমেটিক সিবিসি মেশিন ছিল না। এখন আমরা আরও নির্ভুলভাবে প্লেটলেট কাউন্টসহ বিভিন্ন ব্লাড টেস্ট করতে পারব। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা আরও উন্নত হবে। এছাড়া গুরুতর হার্টের রোগীদের নিচে নামানো ছাড়াই পোর্টেবল ইসিজি মেশিনের মাধ্যমে সরাসরি তাদের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করা যাবে।”
এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাঈমা ইসলাম প্রমুখ।
পরে জেলা প্রশাসক হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন, বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন এবং রোগীদের খোঁজখবর নেন।