২৬ অক্টোবর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৪:২৫, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

বিসিকে দুই কারখানার যৌথ গ্যাসের মিটার রুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

বিসিকে দুই কারখানার যৌথ গ্যাসের মিটার রুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পাঞ্চলের দুʼটি পোশাক কারখানার যৌথ “গ্যাস মিটার রুমে” বিস্ফোরণের পর আগুনে অন্তত ৬ জন দগ্ধ হয়ে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। 

রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিসিকের এমএস ডাইং, প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেড এবং ফেয়ার অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা ভবনের মাঝে অবস্থিত যৌথ মিটার রুমে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের বিসিক স্টেশনের স্টেশন অফিসার আব্দুল হালিম।

আহতদের মধ্যে এমএস ডাইং, প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেডের মেইনটেইনেন্স বিভাগের পাঁচজন এবং ফেয়ার অ্যাপারেলসের নিয়োগ করা একজন নির্মাণশ্রমিক রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, বেলা ১১টার দিকে দগ্ধ ছয়জনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। 

তারা হলেন: মো. আল-আমিন (৩০), মো. আজিজুল্লাহ (৩২), মো. সেলিম (৩৫), মো. জালাল মোল্লা(৪০), মো. নাজমুল হুদা (৩৫) ও নূর মোহাম্মদ (৩৫)।

তাঁদের মধ্যে নাজমুল হুদার শরীরের ২৮ শতাংশ, মো. জালাল মোল্লার ১৪ শতাংশ, মো. আজিজ উল্লাহর ৯ শতাংশ, মো. সেলিমের ১০ শতাংশ, আল আমিন ১৭ শতাংশ ও নূর মোহাম্মদের শরীরের ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

দগ্ধ নাজমুল ও আল আমিনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়েছে বলেও জানান এ চিকিৎসক।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা হালিম বলেন, ঘটনাটি সকাল নয়টার আগে ঘটলেও ফায়ার সার্ভিস খবর পায় বেলা এগাকোটার দিকে। পরে তাদের একটি দল ঘটনাস্থলে প্রাথমিক তদন্ত চালায়।

“দুʼটি কারখানার গ্যাসের মিটার রুম পাশাপাশি। একতলা বিশিষ্ট গ্যাসের মিটার রুমটি বড় করার কাজ চলছিল। সকালে ছাদের রড কাটার জন্য হ্যান্ড গ্রাইন্ডিং মেশিন চালানো হয়। ধারণা করছি, যেহেতু মিটার রুম, সেখানে হয়তো গ্যাস জমা ছিল, রড কাটার সময় স্পার্ক থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে।”

এ ধরনের কার্যক্রম চালানোর সময় আরও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ফেয়ার অ্যাপারেলস লিমিটেডের স্টোর ইনচার্জ হাসানুর রহমান বলেন, গত তিনদিন তিতাস গ্যাস কোম্পানি অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নিয়োগ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাস লাইনের কাজ করেছেন। প্রধান লাইনে গ্যাসের চাপ বাড়ানোর জন্য পুরাতন লাইন কেটে নতুন সংযোগের কাজ করানো হয়।

অপর কারখানাটির ডিজিএম (মেইনটেইনেন্স) নাসির উদ্দিন বলেন, “মূলত ফেয়ার অ্যাপারেলস তাদের মিটার রুমটি বড় করার পরিকল্পনা করেছিল। সেজন্য তারা গ্যাসের লাইনের কাজ করিয়েছে এবং ছাদ ভাঙার কাজের সময় এ ঘটনাটি ঘটে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের মিটার রুমটিও যেহেতু পাশাপাশি, তাদের কাজ শেষ করার পর আমাদেরটা শুরু করার কথা ছিল।”

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে বিসিকে পুলিশের এক টিম পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়