২১ অক্টোবর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬:৫৭, ২১ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৭:০১, ২১ অক্টোবর ২০২৫

সাত খুন মামলার শুনানি পেছালো চার সপ্তাহ

সাত খুন মামলার শুনানি পেছালো চার সপ্তাহ

দেশজুড়ে আলোচিত নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার আপিল বিভাগের শুনানি চার সপ্তাহের জন্য মুলতবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণের তিন দিন পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে।

নিহতদের মধ্যে ছিলেন- প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তাঁর বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম।

ঘটনার পর দুটি মামলা দায়ের করা হয়। একটি করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি, অপরটি করেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল।

দুটি মামলার বিচার একত্রে শেষ করে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র‌্যাবের বরখাস্ত তিন কর্মকর্তা- লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন এবং লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা।

রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন, আর মৃত্যুদণ্ডের নথি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিজি প্রেসে পেপারবুক প্রস্তুত করে হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং একই বছরের ২২ মে থেকে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। ৩৩ কার্যদিবস ধরে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেন।

হাইকোর্টে বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয় ১৫ আসামির বিরুদ্ধে এবং বাকি ১১ জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। ৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডও বহাল থাকে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন, মাসুদ রানা ছাড়াও র‌্যাবের সাবেক সদস্যরা- মো. এমদাদুল হক, হীরা মিয়া, এ বি মো. আরিফ হোসেন, বেলাল হোসেন, আবু তৈয়্যব আলী, শিহাব উদ্দিন, পূর্ণেন্দু বালা, আবদুল আলীম, মহিউদ্দিন মুন্সী, আলামিন শরীফ ও তাজুল ইসলাম।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন র‌্যাবের সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, এনামুল কবির এবং নূর হোসেনের সহযোগী মূর্তজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু, আবুল বাশার, রহম আলী, জামাল উদ্দিন সরদার, সেলিম, সানাউল্লাহ সানা ও শাহজাহান।

এদিকে, বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পাওয়া ৯ আসামির সাজাও বহাল রাখে হাইকোর্ট। তাদের মধ্যে রয়েছেন কনস্টেবল হাবিবুর রহমান (১৭ বছর), এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল বাবুল হাসান, কর্পোরাল মোখলেসুর রহমান, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন, সিপাহী নুরুজ্জামান (প্রত্যেকে ১০ বছর করে), এবং এএসআই বজলুর রহমান, হাবিলদার নাসির উদ্দিন (৭ বছর করে)।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়