নারায়ণগঞ্জ-৪: বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা নিয়ে অপেক্ষা বাড়ছে
ঢাকার পাশের গুরুত্বপূর্ণ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে দ্বিতীয় দফাতেও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও ৩৬টি আসনের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে এ আসনটি শূন্যই রাখা হয়, যা নিয়ে দলে ও এলাকায় জোরালো আলোচনা শুরু হয়েছে—জোটের সমীকরণেই কি আটকে আছে নারায়ণগঞ্জ-৪?
দলীয় সূত্র জানায়, এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম টিটু এবং জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। তারা ইতোমধ্যেই মাঠে সক্রিয় থেকে নানা উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “জোটের বিষয়ে এখনও দলের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সে কারণেই আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। আমরা আশা করি—এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীই দেওয়া হবে।”
২০১৮ সালের নির্বাচনেও প্রথমে বিএনপি থেকে মোহাম্মদ শাহ আলমের নাম ঘোষণা করা হলেও পরে শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা মনির হোসেন কাসেমীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও জোটের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মনির কাসেমী মাঠে রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির অতীতও উজ্জ্বল। ১৯৯৬ সালে এ আসন থেকে মোহাম্মদ আলী এবং ২০০১ সালে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন মূল প্রশ্ন—এবারও কি শেষ মুহূর্তে জোটের জন্য আসন ছাড়বে বিএনপি, নাকি ফিরে পাবে নিজেদের প্রতীক ধানের শীষ? চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় তাই নেতাকর্মী ও ভোটাররা।





































