৩ প্রজন্মের বাইরে জালাল হাজীর পরিবারে কেউ নাই: কালাম
মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, “যারা জেলজুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা ন্যায়বিচার চান এবং বিএনপি এ বিষয়ে ভুল করবে না। আমি তিনবার নির্বাচিত হয়েছি, এটি আপনারা করেছেন। আজকে আমাকে কালাম সাহেব বলেন, কিন্তু প্রকৃত মালিক আপনারা। আমি বিএনপির পরীক্ষিত সৈনিক। আমাদের পরিবার তিন প্রজন্ম ধরে রাজনীতিতে যুক্ত; আমার পিতা প্রয়াত জালাল হাজী, এরপর আমি আবুল কালাম, এবং সবশেষ আমার পুত্র আবুল কাউছার আশা। এই তিন প্রজন্মের বাইরে জালাল হাজীর পরিবারে কেউ নেই।”
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বন্দরের নবীগঞ্জ কবিলের মোড় এলাকায় আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক নেতাকর্মী জেল খেটেছে, মামলা খেয়েছে, হত্যার শিকার হয়েছে। আজকের সমাবেশ সেই নির্যাতিত নেতাদের সমর্থনে আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের অপেক্ষাকে অবজ্ঞার চোখে দেখা হচ্ছে। আমরা দলের সঙ্গে কখনো বেইমানি করি নাই এবং ভবিষ্যতেও করব না।”
প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও শিল্পপতি আবু জাফর আহাম্মেদ বাবুল বলেন, “বিগত ১৭ বছরে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুমের শিকার হয়েছে। আমারও সেই সময়ের বেশ কিছু মামলা হয়েছে। আমার বাড়িতে হামলা, লুটপাট হয়েছে। পুলিশ নির্যাতনে আমার বাড়িতে থাকা বোনসহ গৃহকর্মীকে মারার ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জে যারা বড় বড় কথা বলে, তাদের মধ্যে কয়জনের বাসায় এমন হামলা ঘটেছে?”
সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা মোমশিখা প্রজ্জলন করে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য আওলাদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক সানাছিরুল্লাহ টিপু, বিএনপি নেতা হোসেন প্রধান, আমির হোসেন, জাবেদ, খোকন, হুমায়ুন মোল্লা, আসাদুজ্জামান বাদলসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের শতশত নেতাকর্মী।





































