দলের জন্য সব সময় প্রস্তুত, ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান শাহ আলমের
 
						
									বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম বলেছেন, ২০০১ সাল থেকে আমি বিএনপির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। সে দীর্ঘ পথের মধ্যে এমন অনেক কথা আছে যা গত ১৭ বছরে বলা হয়নি। তিনি বলেন, ২০০১ সালে ওই এলাকায় নির্বাচনকালীন এক থমথমে পরিবেশ ছিলো; অত্যাচার ও অবিচারের কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল। তখন বিএনপির পক্ষে নির্বাচনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ফতুল্লায় তার বাসভবনে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
শাহ আলম বলেন, “আমি প্রথম থেকেই প্রচারবিমুখ; নিজেকে বিন্দুমাত্র জাহির করি না। এই এলাকায় সাতটি ইউনিয়নে কারা কেমন—আপনারা সবাই জানেন। বিগত সময়ে যারা যা করেছে, তা আপনাদের জানা।” তিনি আরও বলেন, “আমি কখনো চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, মাদকব্যবসা কিংবা সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেইনি। আমার কোনো পিএস, প্রাইভেট সেক্রেটারি বা সিকিউরিটি নেই; আমার কাছে আসতে হলে লোক ধরে আনার প্রয়োজন নেই।”
২০০৮ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে শাহ আলম বলেন, তখনও এলাকার মানুষ তাঁর পক্ষে কাজ করেছে এবং ফলাফল নিয়ে তিনি কষ্টে ছিলেন। তিনি দাবি করেন যে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁর রেজাল্ট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন এবং নির্বাচনের পর নেত্রীর কাছে গেলে তাঁকে আদর ও উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল। শাহ আলম বলেন, নেত্রীর কথার অনুপ্রেরণায় তিনি দলকে শ্রম ও মেধা দিয়ে পরিচালনা করেছেন এবং দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আমি কখনো কোনো নেতা-কর্মীকে ছেড়ে যাইনি। যেসব নেতা-কর্মীর মামলা, হামলা বা গুমের ঘটনা হয়েছে তাদের পাশে থেকেছি—আর্থিক ও আইনগত সহায়তা করেছি, পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।”
২০১৮ সালে দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার সময় ২৪টি মামলা হয়েছে- এই অভিযোগ তোলেন শাহ আলম। তিনি বলেন, প্রতিটি মামলার মুখোমুখি হয়ে জামিন নিয়ে ভোটদানে অংশ নিয়েছেন এবং দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, আছেন।
কিছু মহল গুজব ছড়ায় যে তিনি পদত্যাগ করেছেন- এই বক্তব্যকে নাকচ করে শাহ আলম বলেন, দলের নির্দেশ ছিল “এক নেতার এক পদ” এবং তিনি দীর্ঘদিন ফতুল্লা থানার সভাপতি ছিলেন; কিন্তু নতুন নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে তিনি নিজ পদের দায় শিথিল করেছেন।
আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাঁর মিল ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার চেষ্টা হয়েছে- শাহ আলম এসব অভিযোগ করেন। তিনি কাইদাসহ ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেন, “ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে দল আমাকে মনোনয়ন দিবে; আমি দলের ওপর এই প্রত্যাশা রাখি। আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করে জিতলে আমি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় দেব না।”
শেষে তিনি যোগ করেন, “আমি কখনো থানায় ফোন দিয়ে তদবির করি নাই। কেউ বলতে পারবে না আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অপবাদ দিয়েছি। যদি আমি এমপি নির্বাচিত হই, এলাকায় প্রশাসন ও পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। আমরা তো আখের গুছাতে আসিনি- সমাজের জন্য কাজ করতে চাই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি।”
উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহিদ হাসান রোজেল, জেলা বিএনপির সদস্য আকরামুল কবির মামুন, পান্না মোল্লা, বিএনপি নেতা আরাফাত জিতু প্রমুখ।
 
							




































