২০ মে ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৮:৫৯, ১৯ মে ২০২৫

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের ১০ মাস পর মামলা, আসামি আইভী-শামীম

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের ১০ মাস পর মামলা, আসামি আইভী-শামীম
নিহত সজল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের দশমাস পর আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ দলটির ৬২ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি রুজু হয় বলে জানান এ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর আলম।

তিনি জানান, গত বছরের ২০ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জুতা কারখানার শ্রমিক সজল মিয়া (২০)। তার মা রুনা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এ মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বাদী রুনা বেগম আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের হাসান আলীর স্ত্রী।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

এছাড়া এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুও এই মামলার আসামি।

আসামিদের মধ্যে অন্যরা হলেন: সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন হাজী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, সিরাজ মণ্ডল, নুরুউদ্দিন মিয়া, শাহজালাল বাদল, শ্রমিক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, আড়াইহাজারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লা, আড়াইহাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সুন্দর আলী, আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম।

মামলার এজাহারে বাদী লিখেছেন, গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার ছেলেও অংশগ্রহণ করে। গত ২০ জুলাই বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে ছাত্র-জনতার উপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। ওই সময় বাদীর ছেলে সজল মিয়ার পেটে গুলি লাগে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। সেখানে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পরে দেশের পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ময়নাতদন্ত না করে তার ছেলের মরদেহ দ্রুত গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন তিনি।

তার ছেলে মৌচাক এলাকায় তার বাবার সাথে জুতার কারখানায় কাজ করতো বলেও জানান রুনা বেগম।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীদের প্ররোচনায় এবং শামীম ওসমান, আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমানদের উপস্থিতিতে ও তাদের নির্দেশে অপরাপর আসামিরা ছাত্র-জনতাকে মারধরসহ গুলি করে হত্যা করে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়