১৬ মে ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:১৯, ১৫ মে ২০২৫

বিএনপি নেতা আজাদের বিরুদ্ধে ২ দুই বোনের সংবাদ সম্মেলন

বিএনপি নেতা আজাদের বিরুদ্ধে ২ দুই বোনের সংবাদ সম্মেলন

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ ও তার অনুসারীদের ‘হুমকিতে’ কলেজপড়ুয়া দুই বোন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার মুকুন্দিতে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকে এই অভিযোগ করেন তারা।

ভুক্তভোগী দুই বোনের অভিযোগ, তারা যখন শিশু তখন তাদের মা তাদের ফেলে পরকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান। পওে তাদের বাবা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা তার মাকে তালাক দিলে তারা বাবার তত্ত্বাবধানেই বড় হয়েছেন। সম্প্রতি ওই নারী তাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছেন এবং এজন্য তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের প্রভাব খাটাচ্ছেন। এতে তারা আতঙ্কে দিন-যাপন করছেন বলেও জানান।

নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন কলেজছাত্রী তাসনুভা আক্তার পারুল ও তার ছোট বোন তাবাসসুম জাহান।

লিখিত বক্তব্যে তাসনুভা আক্তার পারুল বলেন, “আমাদের পিতা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা আমার মাকে পরকিয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে তালাক দেন। তালাকপ্রাপ্ত ওই নারী পরবর্তীতে অন্য সংসারে সন্তান জন্ম দেন। আমাদের শৈশবকাল থেকে আমাদের দেখাশোনা ও লালন-পালনের দায়িত্ব পালন করেন বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনু।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের পিতার সম্পত্তি দখলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু ও তার সহযোগীরা তালাকপ্রাপ্ত ওই নারীকে ব্যবহার করে আমাদেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত বছরের ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও তার ভাই রাকিবের নির্দেশে থানা বিএনপির সেক্রেটারি জুয়েল আহম্মেদ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের বাসায় হামলা চালান। আমরা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। এরপরও আমাদের বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করা হয়।”

পারুলের অভিযোগ, “আমাদের পিতা আইন অনুযায়ী আমাদের নামে সম্পত্তি লিখে দেন। কিন্তু তালাকপ্রাপ্ত ওই নারী এখনো আমাদের খুন করার জন্য বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করছেন। আগে আওয়ামী লীগের লোকজনকে ব্যবহার করেছেন আর এখন বিএনপির নজরুল ইসলাম আজাদের প্রভাব ব্যবহার করছেন।”

এ শিক্ষার্থী বলেন, “আগে নজরুল ইসলাম বাবু ও তার সন্ত্রাসীদের প্রভাবে আমার পিতার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী শামীম আক্তার সিমা আমাদের খুন করার পরিকল্পনা নেন। পুলিশ ও মিডিয়ার সহযোগিতয়া তখন আমাদের জীবন রক্ষা পায়। শেখ হাসিনা পালানোর পর নজরুল ইসলাম আজাদ ও তার ভাই রাকিবের নির্দেশে থানা বিএনপির লোকজন আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এখন আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। আমরা সরকারের কাছে আমাদের জানমালের নিরাপত্তা দাবি করছি।”

অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের মুঠোফোনের নম্বরে একাধিক কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়