রিয়াদের বিরুদ্ধে আরেক মামলা, পুলিশের মামলায় ২ দিনের রিমাণ্ডে

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ড্রেজার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান এ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম।
এদিকে, অপর আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে পুলিশ বাদী হয়ে করা ওই মামলায় আদালতে তোলা হয়। পরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালতে পুলিশ ৭ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে ২ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করা হয় বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী বিএনপির সদর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে আটক হন রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। পরে তাকে হেফাজতে নেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। রিয়াদের গ্রেপ্তারের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। পরে ওইদিন বিকেলে রিয়াদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা করে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক রিয়াদ বিএনপির জেলা কমিটিরও সদস্য ছিলেন। দল তাকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করেছে।
এর দু’দিন আগে এক পোশাক কারখানার মালিককে ‘হুমকি দেওয়ার’ একটি অডিও-ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ রয়েছে, পোশাক মালিককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অপরপ্রান্তে ছিলেন রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। যদিও বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই পোশাক কারখানার মালিক আজাদ হোসেন দাবি করেন, রিয়াদ তার আত্মীয়।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “রিয়াদ আমার ভাগ্নে, তার সাথে পুরো বিষয়টিই আমাদের পারিবারিক। যে অডিও ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে সেটি বেশকিছু অংশ এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) দিয়ে তৈরি। রিয়াদ আমাকে কোনো হুমকি দেয়নি, আমার কোনো অভিযোগ নেই।”
তার বক্তব্য জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানিয়েছেন বলে জানান এ পোশাক ব্যবসায়ী।
এদিকে, তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় দায়ের করা নতুন চাঁদাবাজির মামলায় বাদী রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, রিয়াদ তার কোটি টাকার ড্রেজার আটকে রেখে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন।
মামলার এজাহারে তিনি লিখেছেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লা স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়ামে বালু ভরাটের কাজের সময় বিএনপি নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় বালু ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিবে বলে হুমকি দেয়।