ক্লাবে আগুন: শামীম ও সেলিম ওসমানসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সুপারভাইজার রঞ্জন কুমার রায় সুমন। শুক্রবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে রঞ্জন কুমার রায় সুমন উল্লেখ করেন, দুর্নীতি ও লুটপাটের প্রমাণ নষ্ট করতেই নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে আগুন লাগানো হয়। এতে ক্লাবের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মামলায় আসামি করা হয়েছে ৪৬ জনকে। এছাড়া, নাম উল্লেখ না করে আরও দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাম রাজত্ব কায়েম করে শামীম ওসমান, তার ভাই সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের শ্যালক ও ক্লাবের তৎকালীন সভাপতি তানভীর আহমেদ টিটু। তারা ক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২ আগস্ট সন্ধ্যায় ক্লাবের গেস্ট হাউসের প্রেসিডেন্ট স্যুটে গোপন বৈঠক করে আসামিরা। এরপর ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে ক্লাবের ভিতরে ফাঁকা গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে অফিস কক্ষ, গেস্ট হাউস, লাইব্রেরীসহ বিভিন্ন কক্ষে বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে আগুন লাগিয়ে ব্যাংকের হিসাবপত্র, এফডিআর রশিদ, রেকর্ডপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়িয়ে ফেলা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এ ঘটনায় ক্লাবের নামাজ ঘরও রক্ষা পায়নি। আগুনের ঘটনায় ক্লাবের প্রায় ছয় লাখ টাকা লুট হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির আহমেদ বলেন, "মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি শংকর কুমার রায়, শামীম ওসমানের বেয়াই ফয়েজ উদ্দিন লাভলু, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বিপ্লব সাহা রামু, এস এম রানা, ক্লাবের সাবেক সভাপতি খবির আহমেদ, সাবেক কার্যকরী সদস্য মঈনুল হাসান বাপ্পী, ইয়ান মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি লিটন সাহা, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান প্রমুখ।