পুলিশের মামলায় কারাগারে বিএনপি নেতা রিয়াদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের মামলায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
এর আগে সকাল নয়টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার করার সময় রিয়াদকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।
গ্রেপ্তারের খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে দলটির অফিসিয়াল পেজে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপ’র জন্য তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক রিয়াদ বিএনপির জেলা কমিটিরও সদস্য ছিলেন। দল তাকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করেছে।
এসপি প্রত্যুষ বলেন, “চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী থাইল্যান্ড পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। জেলা পুলিশ থেকে বিমানবন্দরে এ বিষয়ে অবগত করা হলে ইমিগ্রেশনে আটক হন তিনি। পরে তাকে হেফাজতে নেয় জেলা পুলিশ।”
দু’দিন আগে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক পোশাক কারখানার মালিককে ‘হুমকি প্রদানের’ একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও রিয়াদকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবারের বিকেলে আদালত চত্বরে ওই ব্যবসায়ী আজাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “রিয়াদ আমার ভাগ্নে, তার সাথে পুরো বিষয়টিই আমাদের পারিবারিক। যে অডিও ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে সেটি বেশকিছু অংশ এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) দিয়ে তৈরি। রিয়াদ আমাকে কোনো হুমকি দেয়নি, আমার কোনো অভিযোগ নেই।”
তার বক্তব্য জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানিয়েছেন বলে জানান এ পোশাক ব্যবসায়ী।
এদিকে, রাত আটটার দিকে মুঠোফোনে এসপি প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, “পোশাক কারখানা পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ করেছিলেন এক ব্যবসায়ী। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপও ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু কোনো কারণে তিনি আর মামলা করতে রাজি হননি। ফলে ওই অডিও ক্লিপের সূত্র ধরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।”
ফতুল্লা মডেল থানায় রুজু হওয়া এ মামলায় কেবল রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকেই আসামি করা হয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের শীর্ষ এ কর্মকর্তা।