একতা খেলাঘর আসরের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল: নতুন কমিটি ঘোষণা
শিশুদের সৃজনশীল বিকাশ, মানবিক মূল্যবোধ চর্চা এবং আগামীর বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘একতা খেলাঘর আসর’র ১৬তম দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ২০২৫-২৭ কার্যবর্ষের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল “আজকের খেলাঘর, আগামী দিনের বাংলাদেশ।”
অধিবেশনে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করেন বর্তমান সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম। নতুন কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি রেখা গুণ, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক দিপ্ত দেবনাথ, সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সুমিত রায়, দীপা রায়, নন্দিনী ঘোষ এবং সুমন সাহা।
কমিটির বাকিরা হলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজলক্ষ্মী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক যীশু রায়, অর্থ সম্পাদক মৌল্লিকা বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিসান ও তাতৈ সাহা, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক রুদ্র সাহা, সাহিত্য সম্পাদক সূচনা দাস, সহ-সাহিত্য সম্পাদক অর্চনা দাস, ক্রীড়া সম্পাদক সাব্বির হোসেন মাহিম, সদস্য দীপক ভৌমিক, অনিক সাহা, রিপন সাহা, সামিউল ইসলাম, মঞ্জু বেগম ও তুলসী দাস।
জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অধিবেশন শুরু হয়। এরপর দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ ও নীরবতা পালন করা হয়।
সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায় বিগত কার্যবর্ষের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এতে সংগঠনের সৃজনশীল কার্যক্রম, শিশুদের মনন বিকাশে ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
কাউন্সিলে উপস্থিত সংগঠকরা বলেন, “সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে শিশুদের নিয়ে কাজ করা জরুরি। শিশুদের মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও মানবিকতা শেখাতে খেলাঘরের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।”
পরে নতুন নেতৃত্বের প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে সর্বসম্মতভাবে ২৫ সদস্যের নতুন কমিটি অনুমোদন করা হয়। শিশু সংগঠক মনোয়ারা সুরুজ নবনির্বাচিতদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাঘর নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রধান উপদেষ্টা ও শিশু সংগঠক রথীন চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, “শিশু আন্দোলন, সংস্কৃতি, সমাজ ও রাজনীতিতে খেলাঘরকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। নতুন নেতৃত্ব যেন শিশুদের জন্য সৃজনশীল পরিবেশ তৈরি করে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মী চক্রবর্তী, মনোয়ারা সুরুজ, ফারুক মহসিনসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি সুমিত রায়।
নবীন-প্রবীণ সংগঠক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অংশগ্রহণে অধিবেশন হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর। শিশুদের শিল্প–সংস্কৃতি চর্চা এবং মানবিক সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে কাউন্সিল অধিবেশন শেষ হয়।





































