কোরবানি: শেষ মুহুর্তে হাটে বেচাকেনার ধুম
ঈদুল আযহার আর মাত্র একদিন বাকি। শেষ মুুহুর্তে নারায়ণগঞ্জ জেলার কোরবানির পশুর হাটে চলছে বেচাকেনার ধুম। ক্রেতাদের আনাগোনা ও দর কষাকষিতে সরগরম হাটের পরিবেশ। বিক্রি বাড়ায় খুশি বিক্রেতারা। ক্রেতারাও বলছেন, হাটে পশুর উপস্থিতি বেশি থাকায় সাধ্যের মধ্যে পাচ্ছেন পছন্দের পশু।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) শহরের কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যরাও বড়দের হাত ধরে এসেছেন কোরবানির জন্য পশু কিনতে। ক্রেতা বাড়ায় বেড়েছে বিক্রিও। শহরের সড়কগুলোতে কোরবানি পশু নিয়ে লোকজনকে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। যাবার পথে লোকজন জানতে চাচ্ছেন পশুর দাম। হাসিমুখে ক্রেতাও জানাচ্ছেন তা।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, গতকাল বুধবার বিকেল থেকে বিক্রি বেড়েছে। দাম আশানুরূপ না পাওয়া গেলেও মুনাফা হাতে রেখেই বিক্রি করছেন হাটে তোলা পশুগুলো।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বিগত বছরের তুলনায় পশুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শুরুর দিকেই অনেকে পশু কিনে ফেলায় হাটগুলোতে পশুর উপস্থিতি অনেকটা কমে এসেছে। এতে চাঁদরাতের দিন কোরবানির পশু পাওয়া ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেন অনেকে।
পাবনার বেড়া উপজেলার বাসিন্দা মন্টু, বাচ্চু মিয়াসহ ১২ জন কৃষক তাদের পালিত পশু এবার নারায়ণগঞ্জ জেলার গোগনগর ইউনিয়নের আউয়ালের গুদারাঘাট এলাকার পশুর হাটটিতে তুলেছেন। তারা মোট ২৩টি গরু নিয়ে গ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জের এ হাটে এসেছেন।
হাটে তোলা তাদের গরুগুলোর ১৩টি ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। বাকি ১০টিও রয়েছে বিক্রির অপেক্ষায়।
মন্টু মিয়া বলেন, “দাম মোটামুটি পাচ্ছি কিন্তু আশানুরূপ না। ভাবছিলাম আরেকটু বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো। কিন্তু লস হচ্ছে, লাভ একটু কম হচ্ছে এই আরকি। কিন্তু হাটে ক্রেতা আছে আর বিক্রিও হচ্ছে।”
সিরাজগঞ্জ থেকে তিনটি গরু নিয়ে হাটে এসেছিলেন সোহেল রানা। তিনি বলেন, “দুইটা বিক্রি হইসে। দাম ভালোই পেয়েছি। একটা গরু বাকি আছে। আশা করি আজই বিক্রি হয়ে যাবে। বিক্রি হয়ে গেলে গ্রামে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবো।”
উত্তর মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির কয়েকটি হাটে ঘুরেছেন। কিন্তু পছন্দমতো গরু কিনতে পারেননি এখনও। আশা করছেন চাহিদামাফিক গরু পেয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, “দাম গতবছরের মতোই আছে। বাড়েনি আবার কমেওনি। তবে হাটে পশুর সংখ্যা কমে আসছে। আজকে গরু কিনতে না পারলে কালকে দাম বেড়ে যেতে পারে।”
আউয়ালের গুদারাঘাট সংলগ্ন হাটের ইজারাদার রাশেদুল ইসলাম বলেন, “বেঁচাকেনা শুরু থেকেই খুব ভালো। গতকাল হাটের অধিকাংশ পশু বিক্রি হয়ে গেছে। হাট যাতে খালি না দেখায় তাই আরও পশু আনতে হয়েছে।”





































