৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাদির হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে: মুনা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের উদ্যোগে মশাল মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ডের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক ফারহানা মানিক মুনা হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বলেন, “তফসিল ঘোষণার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় নির্বাচনী প্রার্থীর ওপর গুলি- এটাই প্রমাণ করে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের নতুন নির্মাণ শুরু হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে হাদিকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে জনতার সামনে হাজির করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ক্ষমতার দম্ভের সন্ত্রাস নাকি গুপ্ত ষড়যন্ত্র- এর জবাব এই সরকারের সামনে হাজির করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “হাদির ওপর গুলি চালিয়ে দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা হয়েছে। এই গুলি কি নির্বাচনের প্রথম গুলি? নাকি শেষ?- এটা এখনই নির্ধারণ করতে হবে। দুই হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে, তা কোনোভাবেই ব্যর্থ করা যাবে না। নির্বাচনী বিশেষ নিরাপত্তা বলয় নিশ্চিত করতে হবে।”
গণতন্ত্রের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফারহানা মানিক বলেন, “আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারী কিংবা নব্য ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে জনতার ঐক্যই বাংলাদেশের শক্তি।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা রহমান বিথী, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সাঈদুর রহমান, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি প্রার্থী তরিকুল সুজন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি প্রার্থী ও গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, সমাবেশ ও মশাল মিছিলে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ ছাড়াও গণসংহতি আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
মশাল মিছিলটি নারায়ণগঞ্জের বি.বি. রোড প্রদক্ষিণ করে ২নং গেইট মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর কলেজ রোড ডাকবাংলো এলাকায় এসে সমাপ্ত হয়।





































