১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২:০৪, ২৪ মে ২০২৫

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে হোসিয়ারি ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে হোসিয়ারি ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল

নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন হোসিয়ারি ব্যবসায়ীরা। শনিবার (২৪ মে) দুপুরে নয়ামাটি, করিম মার্কেট ও গুলশান হল এলাকায় লাঠি হাতে ও বাঁশি বাজিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। লাঠিমিছিল শেষে পথসভায় মিলিত হয়ে তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদিউজ্জামান বদু বলেন, “আমরা চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে সব ব্যবসায়ীদের একত্রিত করে এই লাঠিমিছিল করেছি। কিছু দুষ্কৃতকারী ও চাঁদাবাজ মার্কেটে এসে মালিকদের কাছে জোর করে চাঁদা দাবি করছে। আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা লাঠিমিছিল করে বোঝাতে চেয়েছি, চাইলে আমরাও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নিইনি। শুধু সন্ত্রাসীদের জানিয়ে দিয়েছি—চাঁদাবাজি করলে আমরাও প্রস্তুত।”

তিনি জানান, নয়ামাটি ও করিম সুপার মার্কেট এলাকাজুড়ে হোসিয়ারি ব্যবসায়ীদের বড় অংশ অবস্থান করে। প্রতিদিন এখানে কোটি টাকার পণ্য কেনাবেচা হয়। কিন্তু চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে ব্যবসা পরিচালনায় নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি নাছির আহমেদ বলেন, “নারায়ণগঞ্জে বড় কোনো সন্ত্রাসী ঘুরে বেড়াচ্ছে—এমন কোনো প্রমাণ নেই। ছোটখাটো কিছু চুরি-ছিনতাই হয়ে থাকতে পারে, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এখনো সুস্পষ্ট নয়। কেউ নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।”

নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি, করিম মার্কেট, গুলশান হল, দেওভোগ হোসিয়ারি মার্কেট ও উকিলপাড়া এলাকায় গড়ে উঠেছে হোসিয়ারি শিল্পকেন্দ্র। নয়ামাটি ও উকিলপাড়া নিয়ে গঠিত ‘নারায়ণগঞ্জ হোসিয়ারি সমিতি’ এবং দেওভোগ এলাকায় আলাদা ‘দেওভোগ হোসিয়ারি মার্কেট’ রয়েছে। এসব এলাকায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়।

এই শিল্পাঞ্চল অতীতে ওসমান পরিবারের প্রভাবাধীন ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ওসমান পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন হোসিয়ারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। কিন্তু জুলাই আন্দোলনের পর তারা এলাকা ছেড়ে চলে গেলে কয়েক মাস জায়গাটি শূন্য ছিল।

তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নতুন চাঁদাবাজদের উদয় হয়েছে। ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা দাবি ও হুমকির ঘটনা বেড়েছে। তবে ভয়ে অনেকেই প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়