২৮ নভেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

ওয়াকফকৃত জমির মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদে সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ

ওয়াকফকৃত জমির মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদে সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ওয়াকফকৃত জমিতে নির্মিত মসজিদ ভেঙে ফেলার ঘটনায় সাবেক যুবদল নেতা শহিদুল ইসলামের শাস্তির দাবিতে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বাদ জুমা ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সালু হাজী রোড এলাকায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, মসজিদ ভাঙার মূলহোতা শহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং নিজ খরচে মসজিদ পুনর্নির্মাণ করতে হবে। পাশাপাশি এমন জঘন্য কাজের জন্য তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে ধর্মপ্রাণ মানুষ চুপ করে থাকবে না।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্থানীয় বাসিন্দা ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির গৃহায়ন, ভূমি ও পুনর্বাসন সম্পাদক আবুল খায়ের শান্ত বলেন, প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল সরকারিভাবে পুনর্নির্মাণের জন্য মসজিদটি ভাঙা হচ্ছে। পরে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দাবিদার শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে আব্দুল হান্নান ও সুমন ‘সন্ত্রাসী কায়দায়’ মসজিদ ভেঙে বাণিজ্যিক বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। কারণ জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম জমির মালিক দাবি করে হুমকি দেন।

মার্কাজুল আজিজ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ বলেন, শিল্পপতি হাজী সালাউদ্দিন মিয়া ১৯৯২ সালে মসজিদের জন্য ৭ শতাংশ জমি দান করেন এবং সেখানে একটি দুতলা মসজিদ নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০০২ সালের ৪ এপ্রিল তিনি ৫ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে দেন। শহিদুল ইসলাম জাল দলিলের মাধ্যমে জমির মালিকানা দাবি করে কিছুদিন আগে ইমাম–মোয়াজ্জিনকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন এবং কাউকে না জানিয়ে মসজিদ ভেঙে ফেলেন।

সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন, ওয়াকফকৃত মসজিদের জমিতে কোনো বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে ব্যক্তিগত অর্থে হলেও মসজিদ পুনর্নির্মাণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, “মসজিদটি নিচু হয়ে গেছে, বর্ষায় পানি ওঠে— তাই পুনর্নির্মাণের জন্য ভাঙা হয়েছে।”

এককভাবে ভাঙার কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, “ক্রয়সূত্রে এ জমির মালিক আমি। বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে, তবে নিচ তলা ও দ্বিতীয় তলাটি মসজিদ থাকবে।” তিনি দাবি করেন, স্থানীয় কিছু লোকজন বিষয়টি মানছেন না।

কর্মসূচিতে অংশ নেন— মুফতি বশির উল্লাহ, হাফেজ জাহের আলী, মাওলানা নূর হোসেন নুরানী, মুফতি আহসান উল্লাহ, মাওলানা কাশেম আল হোসাইন, মাওলানা জুনায়েদ, গণঅধিকার পরিষদের নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি প্রার্থী ওয়াহিদুর রহমান মিল্কি, ৪ আসনের এমপি প্রার্থী আরিফ ভূঁইয়া, স্থানীয় ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন প্রমুখ।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়