বাংলাদেশ প্রশ্নে কাউকে ছাড় দিব না: আব্দুল্লাহ আল আমিন
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেছেন, “৫ আগস্টের পর থেকে আমরা এখন যারা দেশের রাজনীতিতে আছি। আমরা যদি ফ্যাসিস্ট, ভারত ও দেশে জালিমদের প্রশ্নে এক হতে পারি, তাহলে যেই দলেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, দেশের কোন সমস্যা হবে না। পাশাপাশি ফ্যাসিস্টদের অবশ্য বিচারের বিষয়ে আমাদের একমত হতে হবে। দেশে আর জালিমদের সুযোগ দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ফ্যাসিস্টরা দেশের কোন ফরমেটে রাজনীতিতে আসুক এটি আমরা চাইনা। ভারত বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্র হিসাবে চালাবার জন্য যে স্বপ্ন ও আওয়ামী লীগের মাধ্যমে যেটি করে আসছে, সেই বাংলাদেশ আর হতে দেওয়া হবে না।”
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শহীদ আহত সেলের ব্যানারে অনুষ্ঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আল আমিন আরও বলেন, “আমরা চাই বাংলাদেশ পন্থী যত রাজনৈতিক দল রয়েছে, আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ ও মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, মানুষের নিরাপত্তা ও সম্মানের প্রশ্নে আমরা কাউকে ছাড় দিব না। আমরা একটি যৌক্তিক দেশ চাই — যে কেউ অপরাধ করলে বিচার হবে, সে যেই হোক না কেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মনে করি যে লক্ষ্যে আমাদের ভাইয়েরা জীবন দিয়েছে, আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমেছিলাম। তখন হেলিকপ্টারের গুলি ও হাসিনার বাহিনীর তোয়াক্কা করিনি। সেই বাংলাদেশটা যেভাবে চেয়েছিলাম, সেই দেশটি হয়নি। এখন আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার। যে দলের নামে যেই চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিকভাবে শক্তি প্রদর্শন করবে, তাকে প্রতিহত করতে হবে। আমাদের বাংলাদেশ হবে একটি বৈষম্যহীন দেশ — যেখানে সকলের মানবিক মর্যাদা ও নাগরিক অধিকার সমান থাকবে। একজন নাগরিক হিসাবে তার যা প্রাপ্য, সেটি রাজনৈতিক দল, সমাজ ও প্রশাসন দিতে বাধ্য থাকবে — এই ধরণের বাংলাদেশই আমরা গড়তে চাই।”
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলার সদস্য সচিব জাবেদ আলম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সচিব মো. নূর কুতুবুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ডা. ইকবাল হোসেন ভুঁইয়া, এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নিরব রায়হান, এনসিপির সদর উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী মো. আবুল খায়ের, জেলা এনসিপির সদস্য মোসা. সোনিয়া আক্তার লুবনা, সাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর সংগঠক সিয়াম হাওলাদার ও মারকাযুল হানাফী মাদরাসার পরিচালক মুফতি নোমান কাসেমী প্রমুখ।





































