বিচার ও সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন বিলম্বের চক্রান্ত: টিপু

নির্বাচনের পূর্বে বিচার ও সংস্কারের কাজ জনগণের সামনে দৃশ্যমান করতে হবে মন্তব্য করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আবু হাসান টিপু বলেছেন, “নির্বাচনে জামানত হারানোর ভয় যাদের, তারাই এখন বিচার আর সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার চক্রান্ত করছে।”
বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জে নবনির্মিত জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হাসান টিপু বলেন, “সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর শুরু থাকলেও শেষ নেই। কেউ চাইলেই দুই-চার-ছয় মাসে সব বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব নয়, বিশেষ করে গণহত্যার মতো স্পর্শকাতর মামলাগুলো, যেগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। তড়িঘড়ি করে এসব মামলার বিচার শেষ করলে তা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের খুনি শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগী মন্ত্রী-এমপি, পুলিশ ও ক্যাডার বাহিনীর নেতাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এবং সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যেই জনগণের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।”
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ও শ্রমিকনেতা মাহমুদ হোসেন বলেন, “বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি নতুন করে গোপালগঞ্জে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে হাজারো ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে, সেই জুলাই মাসেই ছাত্রলীগ গণ-অভ্যুত্থানের নেতাদের উপর হামলা চালিয়েছে—এটি পরাজিত ফ্যাসিবাদীদের চরম ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—শ্রমিকনেতা সহিদুল আলম নাননু, সাইফুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, সুমন হাওলাদার প্রমুখ।