গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ এনসিপির

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডে অবরোধ করে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। মহাসড়কে বাঁশ ফেলে বিকেল পাঁচটা থেকে প্রায় পৌনে এক ঘন্টা তারা মহাসড়কটি অবরোধ করে রাখেন। অবরোধ চলাকালীন দেশের ব্যস্ততম এ মহাসড়কটির উভয়দিকে কয়েক কিলোমিটার যানজট দেখা যায়।

এ সময় এনসিপির নেতারা গোপালগঞ্জে হামলার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তির দাবি জানান। 

এনসিপির নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকটে আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আমাদের সমাবেশে হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের নেতৃবৃন্দ এখনো গোপালগঞ্জে আছেন। এর জন্য আমরা অবস্থান নিয়েছি। আমাদের জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বের নিরাপাত্তার দায়িত্ব অবশ্যই রাষ্ট্রকে নিতে হবে। প্রশাসন যদি দায়িত্ব না নিতে পারে, ফ্যাসিস্টদের বিষয়ে যদি নির্লপ্ততা দেখায়, নমনীয়তা দেখায় তাহলে ছাত্র-জনতা কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। ছাত্র-জনতা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান দেখতে চায়। জুলাই বিপ্লবের এক বছর পরও আমাদের সহযোদ্ধরা গোপালগঞ্জ গিয়ে অবরুদ্ধ হবে। গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের বাইরের কিছু না, গোপালগঞ্জকে বর্গা দিয়ে দেইনি। গোপালগঞ্জকে অবশ্যই ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে। প্রশাসন যদি এই দায়িত্ব না নিতে পারে তাহলে ছাত্র-জনতা এ দায়িত্ব নিবে।’ 

জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু বলেন, ‘গোপালগঞ্জ কারো একার না, গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের। সে জায়গায় আজকে এই পরিস্থিতি  কিভাবে হলো সে দায়ভার প্রশাসন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিতে হবে। আর বর্তমানে যে অবস্থা তৈরী হয়েছে, সারাবাংলাদেশে যে অবস্থা বারবার তৈরী হওয়ার চেষ্টা হচ্ছে সেটা বন্ধ করতে হবে। আজকে গোপালগঞ্জের যে অবস্থা প্রশাসন ও অন্যান্য যারা আছেন তারা কিভাবে হতে দিলেন। তাদের প্রতিরোধে ও এত কিছুর পরেও আমরা আমাদের পদযাত্রা  সফলভাবে করেছি।  সারাবাংলাদেশের পথ যাত্রা আমরা সম্পন্ন করবো।’ 

এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি হয়েছে, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো, এটার সুষ্ঠু তদন্ত করার দরকার। এবং এই অবস্থা কেন তৈরি হবে সেটার জবাবিহতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আনতে হবে। আমাদের পথ যাত্রা চলমান থাকবে। 

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) শওকত আলী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক নিরব রায়হান, সদস্য সচিব জাবেদ আলমসহ প্রমুখ।