২৬ আগস্ট ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ২৫ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ২০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২৫

গাজী টায়ারস ট্র্যাজেডির এক বছর: এখনও নিখোঁজদের অপেক্ষায় স্বজনরা

গাজী টায়ারস ট্র্যাজেডির এক বছর: এখনও নিখোঁজদের অপেক্ষায় স্বজনরা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাজী টায়ারসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিখোঁজ হন ২২ বছর বয়সী তাঁত শ্রমিক আব্দুর রহমান। গত বছরের ২৫ আগস্টের সেই দুর্ঘটনার পর থেকে আর ঘরে ফেরা হয়নি তার। ছেলের শোকে চলতি বছরের মার্চে মারা গেছেন অসুস্থ রিকশাচালক বাবা মো. জালাল। এখন একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোক সইছেন মা হরমুজা বেগম।

পঞ্চাশোর্ধ্ব হরমুজা বেগম বলেন, “বন্ধু-বান্ধবের লগেই সে গেছিলো। ডিউটি শেষ করে বাইত আইবো মনে করছিলাম, কিন্তু বোঝো না শয়তান টানলো, আর ফেরে নাই। বন্ধু-বান্ধব ১০-১২ জন গেছে, কেউই আর ফেরে নাই।”

এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১৮২ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল। গত এক বছরে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা পুলিশ, প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কয়েকটি পরিবার থানায় নিখোঁজের ডায়েরিও করেছেন। কিন্তু কেউই তাদের কোনো সন্ধান দিতে পারেননি।

যদিও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম। গত ১৯ আগস্ট রূপগঞ্জ থানায় তার কার্যালয়ে কথা হলে তিনি বলেন, প্রশাসনের করা তালিকা ধরে পুলিশ নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছে।

“নিখোঁজ ব্যক্তিদের ব্যবহৃত মুঠোফোনের নম্বরের সর্বশেষ লোকেশন এবং ওই নম্বরটি কোথাও সচল আছে কিনা এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এজন্য কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং ফিজিক্যালিও তদন্ত করছেন।”

কিন্তু নিখোঁজ তালিকায় থাকা কাউকেই এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে, ছেলেকে জীবিত পাবার আশা ছেড়ে দিয়েছেন হরমুজা বেগম। তার ধারণা গাজী টায়ারসের আগুনে পুড়েই মারা গেছেন তার ছেলে আব্দুর রহমান। এ নিয়ে কারও প্রতি কোনো রাগ-ক্ষোভও নেই তার। তবে, একটাই আক্ষেপÑ ছেলের লাশটাও চোখে দেখার মতো ‘নসিব’ হলো না তার।

উপজেলার কাজীপাড়া এলাকায় টিনে ঘেরা একটি ঘরে একাই ভাড়া থাকেন এ বৃদ্ধা। জানালেন, ছেলের উপার্জনেই সংসার চলতো তার। বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির আর্থিক অবস্থাও স্বচ্ছল নয়। আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতায় কোনো মতে দিন পার করছেন তিনি।

“আমার পুতে তো বিয়া করে নাই। যারা লগে গেছে, তাদের দুইডা-তিনডা পোলাপান থুইয়া মারা গেছে। ওর (রহমান) বাপে মারা যাওয়ার আগেও একটাবারের লাইগা দেখতে চাইছিল। কিন্তু কইত্তে আইনা দিমু কও? পোলায় তো মরছে পুইড়া। পোলার শোকে বাপও মইরা গেছে, আমি এখনও মরতাছি”, বলছিলেন আবেগে ভেঙে পড়া হরমুজা।

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক পর্যায়ে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। ব্যাপক সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনার মধ্য দিয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তখন আওয়ামী লীগের অনেক পালিয়ে ও আত্মগোপনে চলে যান।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে উপজেলার রূপসী মোড়ে অবস্থিত গাজী টায়ারসের মালিক আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী। তাকে ২৫ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন রাতে রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় দেশের বৃহৎ টায়ার প্রস্তুতকারী কারখানাটিতে লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। টানা পাঁচদিন পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হন।

অগ্নিসংযোগের পরদিন সকাল থেকেই আশপাশের এলাকার নিখোঁজদের স্বজনরা কারখানার ফটকে জড়ো হয়েছিলেন। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে প্রশাসন স্বজনদের কাছ থেকে নিখোঁজদের ছবি ও তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রেখে নাম নিবন্ধন শুরু করে।

জেলা প্রশাসনের তালিকায় থাকা নিখোঁজ অন্তত ৪৫ জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন এ প্রতিবেদক। কয়েকজনের বাড়িতেও গিয়েছেন। সংগ্রহ করেছেন তাদের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র। কথা বলেছেন প্রতিবেশীদের সঙ্গেও। গত এক বছরে নিখোঁজ ব্যক্তিদের এলাকায় দেখেননি বলে জানান তারা।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথম দফায় এ কারখানাটিতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজদের মধ্যে একজন মো. আরিফ। ২৭ বছর বয়সী এ যুবক টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতেন। বছর ঘুরলেও দুই শিশু সন্তানের জনক আরিফের কোনো খোঁজ না পেয়ে দিশেহারা তার স্ত্রী ফারজানা। সাত বছরের এক ছেলে আয়ান ও ১৮ মাসের নাঈম হাসানকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তার।

“বাঁইচা আছে এই আশা নিয়াই এক বছরে এসপি-ডিসি-সেনাবাহিনীর সবার কাছে গেছি। কেউ তো এইডাও কয় না যে, উনি মইরা গেছে। দিন যাইতাছে সবার ঠিকমতোই কিন্তু আমার জীবনডা তো থাইমা আছে”, হতাশার সুরে বলছিলেন আরিফের স্ত্রী।

ঘটনার দিন ট্রাক চালিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন নূর হোসেন। প্রতিবেশী আরেক ট্রাক চালক অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে নিয়ে রূপসী এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। সাথে ছিল ৫ বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ। রাত নয়টার দিকে ছেলেকে বাসায় দিয়ে বোনের স্বামী মো. রাসেলের (৩৪) সঙ্গে যান গাজী টায়ারস কারখানায়। দু’জনের কেউই আর ফেরেননি।

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মোতালেব ঢালীর ছেলে নূর হোসেন দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে রূপগঞ্জের কাজীপাড়া এলাকার দুই কক্ষের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর ওই বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য নূরের স্ত্রী পারভীন বেগম। বর্তমানে একই এলাকায় এককক্ষের একটি টিনের ঘরে তিন সন্তানকে নিয়ে থাকেন তিনি।

“ননদের জামাইর লগে গেছিল গাজীর কারখানায়। রাত তিনটা পর্যন্ত তার ফোন বাজছে। মানুষটা তো আর ফিরলো না। কিন্তু উনি মারা গেছেন সেই ঘোষণাও দিতেছে না। উনি কয়েকটা কিস্তি করে গেছিলেন, সেই কিস্তির টাকাও মাফ হইতেছে না ডেথ সার্টিফিকেট না থাকায়। তিনটা ছেলেমেয়েরে পড়াশোনা করানো তো আমার লাইগা কষ্ট হইয়া যাইতেছে। একটা বিধবা ভাতার কার্ড পাইলেও তো আমার কাজে লাগতো।”

নূর হোসেন ও রাসেলের সন্ধান পেতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালেও খোঁজ করেছেন তাদের স্বজনরা। এমনকি কারাগারেও খোঁজ নিয়েছেন। কিন্তু সন্ধান মেলেনি কোথাও। স্বামীকে গত হয়েছেন ধরে নিয়ে সংসার চালাতে এখন স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি নিয়েছেন পারভীন।

পারভীনের সঙ্গে তার বাসায় যখন কথা হচ্ছিলো পাশ থেকে তার মা খাদিজা বেগম বলেন, “মইরা গেলে হাড্ডিটা তো আছে। তাই দিতো আমাগো। কিন্তু একটা বছর হইয়া গেলো, কিছুই তো করলো না সরকার।”

ওইদিন নিখোঁজ হন উপজেলার মৈক‚লী এলাকার দুই ভাইÑ ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সাব্বির শিকদার (২৬) ও শাহাদাত শিকদার (৩০) এবং তাদের বোনের স্বামী জামির আলী (৩৬)।

কাঁদতে কাঁদতে সাব্বির ও শাহাদাতের মা নুরুন্নাহার বলেন, “যার কাছে যাই সেই কয় খালি ধৈর্য ধরতে। একটা বছর ধইরা ধৈর্যই তো ধরছি। এখন আমি শ্যাষ। মার কইলজাডা কেমন করে সেইটা তোমরা বুঝবা না।”

টানা পাঁচ দিন ধরে জ্বলা আগুনে ভবনটি ভেতরে থাকা কেউ যে আর রক্ত-মাংসে আস্ত থাকবেন না; সেটা ধরে নিয়েই স্বজনরা নিখোঁজদের অন্তত লাশটুকু চেয়েছিলেন; কিন্তু সেটাও তাদের ভাগ্যে জোটেনি। কারণ আগুনে পোড়া ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি তখন।

একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা নিখোঁজ ব্যাটারি কারখানার শ্রমিক মো. আমান উল্লাহর (২১) মা রাশিদা বেগম বলেন, “আমার স্বামী ১০ বছর ধইরা স্ট্রোক কইরা বাসায় বইসা আছে। ছেলেটাই সংসার চালাইতো। ও নিখোঁজ হওয়ার পর আগের বাসা ছাইড়া দিছি। নতুন যে বাসায় ভাড়া থাকি তারও তিনমাসের ভাড়া জইমা গেছে।”

কথার মাঝখানে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এ নারী প্রশ্ন রাখেন, “আমার পোলাডারে শ্যাষবার দেখার আশাও কি মিটবো না?”

আগুনের ঘটনার পর তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক আগুনের সূত্রপাত ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে ২৭ অগাস্ট তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমানকে প্রধান করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে ৩২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি দাখিল করেন কমিটির প্রধান।

ওই ঘটনাকে প্রতিবেদনে নিছক দুর্ঘটনা নয়, ‘অগ্নিসংযোগ’ হিসেবে বর্ণনা করা হলেও কারা ওই কাজ করেছে সুনির্দিষ্টভাবে তাদের চিহ্নিত করা হয়নি।

তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে বলছে, ৫ অগাস্ট প্রথমবার এই কারখানায় লুটপাট চালানো হয়। ওই সময়ও কারখানাটির বেশকিছু স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়। তখন লুটপাট চলে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত। তারপর থেকে কারখানার ওই ভবনের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল।

ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের টানা ২২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন পুরোপুরি নেভে পাঁচ দিন পর। দীর্ঘ সময় ধরে জ্বলতে থাকা আগুনে ভবনটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হওয়ায় সেখানে উদ্ধার অভিযান চালানো যায়নি।

প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনে ১০টি সুপারিশের প্রথমটি ছিল- আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবনটি অপসারণের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করা যায়। ভবনটি মালিকপক্ষকেই অপসারণ করতে হবে।

আগুন নেভানোর পর ভবনটির বেজমেন্টে প্রাথমিক একটি উদ্ধার অভিযান চালিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু সেখানে হতাহত কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে আর কোনো উদ্ধার অভিযান এ ভবনটিতে চালানো হয়নি।

গত ১৯ আগস্ট সরেজমিনে কারখানাটিতে গেলে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যায়নি। তবে, বাইরে থেকে পোড়া ছয়তলা ভবনটি আগের মতোই বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখা যায়।

গাজী টায়ারস লিমিটেডের এক শীর্ষ কর্মকর্তা মুঠোফোনে বলেন, “ভবনটি নিয়ে কাজ করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) এখনও পাওয়া যায়নি। ফলে ভবনটি এখনও আগের মতো অবস্থাতেই পড়ে আছে। কারখানাটির উৎপাদন কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।”

গত এক বছরে বেশ কয়েকবার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করেছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা। কিন্তু তারা কেবল আশার বাণী শুনেছেন, নিখোঁজদের কোনো খোঁজ পাননি।

গত বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত আমি বলতে পারবো না। কিন্তু মিসিং পারসনদের ফ্যামিলি মেম্বাররা একাধিকবার আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা পুলিশকে তাদের সন্ধান করার জন্য বলেছি। নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা একটা আবেদন করেছিলেন, আমি সেটিকে মার্ক করে জেলা পুলিশকে কাজ করতে বলেছি। আশা করি, খুব দ্রুতই কোনো আপডেট দেওয়া যাবে।”

আগুনের ঘটনার পাঁচদিন পর গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর কারখানাটির সামনে গণশুনানির আয়োজন করে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। ওই সময় নিখোঁজ ৮০টি পরিবারের সদস্যরা তাতে অংশ নেন। গণশুনানি শেষে নিখোঁজ স্বজনরা বাধা উপেক্ষা করে ভবনটিতে ঢুকে পড়েন এবং ভবনটি থেকে ১৫ খণ্ড হাড় উদ্ধার করেন। পরে তা পুলিশের কাছে জমা রাখা হয়।

হাড়গুলোর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য তখন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের কাছে পাঠানোর কথা জানিয়েছিলেন জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। তবে গত বৃহস্পতিবার যোগাযোগ করা হলে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ থেকে এ হাড়গুলোর বিষয়ে কোনো আপডেট জানানো হয়নি।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়