নারায়ণগঞ্জের প্রত্যেক আসনে এনসিপির একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী
দরজায় কড়া নাড়ছে ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে প্রায় সব রাজনৈতিক দল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংসদীয় আসনগুলোতের তাদের প্রার্থী ঘোষণা করছে। প্রার্থী ঘোষণা না করলেও সে প্রকিয়ায় আছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন থেকে জন্ম নেয়া রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে এনসিপি। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনে দলটির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। পাঁচটি সংসদীয় আসন থেকে অন্তত ২০জন মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছে দলটির জেলা নেতৃবৃন্দ।
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে এনসিপির মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছে প্রায় ছয় থেকে সাত জন। তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৬ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। কেউ কেউ দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে- এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মো. শওকত আলী, আহমেদুর রহমান তনু, বন্দর উপজেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী শোয়াইব রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা।
গুঞ্জন রয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে এনসিপির মনোনয়ন পাবেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল আমিন। প্রার্থী হওয়ার আশায় তিনি মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। সম্প্রতি তাকে ছাড়াও এ আসনে দুজনের কথা শোনা যাচ্ছে। তারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছে দলটি একাধিক সূত্র।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁ) আসনে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন এনসিপি ও জাতীয় যুশক্তির বেশকিছু নেতাকর্মী। যার মধ্যে চার জন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন- জাতীয় যুবশক্তির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন মাহমুদ, এনসিপি জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য মো. জাবেদ আলম, হাবিব ও মোস্তফা খন্দকার।
প্রত্যেক সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্তের পর একটি বড় সময় নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে দলটি থেকে প্রার্থী হওয়ার মতো কারো দেখা যাচ্ছিল না। আসনটি নিয়ে চিন্তিত ছিল দলটির নেতৃবৃন্দও। তবে সেই নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনেও মনোনয়ন দৌড়ে আছেন দুই জন প্রত্যাশী। তারা হলেন- আড়াইহাজার উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মফিজুল ইসলাম ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান আঙ্গুরের মামাতো ভাই খন্দকার মাজহারুল হক কায়জার।
শহরের পর মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশী রয়েছে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে। এনসিপির প্রার্থী হিসেবে এ আসছে সাতজন নেতার নাম আলোচনায় রয়েছে। যার মধ্যে ছয়জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তাদের মধ্যে রয়েছে- রূপগঞ্জ উপজেলা এনসিপি প্রধান সমন্বায়কারী ইউসুফ, যুগ্ম সমন্বয়কারী সেলিম মিয়া, দলটির জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নিরব রায়হান ও সাইফুল ইসলাম রোমান।
এ বিষয়ে দলটির কেন্দ্রীয় দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে প্রায় ২০ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী আবেদন করেছেন। প্রত্যেক আসন থেকে বেশ কয়েকজন নেতা ফরম সংগ্রহ করে আবেদন করেছেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে এখন সাক্ষাৎকার নেয়া হচ্ছে। যেখানে আমিও সাক্ষাৎকার দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এবং বাকিরা আগামীতে দিবেন। সবকিছু যাচাই-বাছাই, বিবেচনা করেই দল যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিবেন।”





































