২০ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

অপারেশন ডেভিল হান্ট: চতুর্থ দিনে ৬ থানা থেকে গ্রেপ্তার ১৬

অপারেশন ডেভিল হান্ট: চতুর্থ দিনে ৬ থানা থেকে গ্রেপ্তার ১৬

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’র চতুর্থ দিনের অভিযানে জেলার ছয় থানা থেকে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিন অভিযানে সদর মডেল থানা থেকে তিনজন, বন্দর থানায় একজন, ফতুল্লা মডেল থানায় দুইজন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় চারজন, আড়াইহাজার থানা থেকে পাঁচজন এবং রুপগঞ্জ থানা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালীন এবং সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সদর মডেল থানায় গ্রেপ্তার তিনজন হলো- সৈয়দপুর পশ্চিম ফকির বাড়ী এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীন শিকদারের ছেলে মো. বশির উদ্দিন শিকদার (৪৮), নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ এলাকার মৃত চান শরিফ সরদারের ছেলে মো. রিপন সরদার (৪৫), নতুন সৈয়দপুর এলাকার মৃত হাজী দাদন সরকারের ছেলে কাজী হারুনুর রশিদ।

ফতুল্লা মডেল থানায় গ্রেপ্তার দুজন হলো- মাসাইর এলাকার মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম (৪৭), কালামপুর এলাকার ধনজয়ের ছেলে মিষ্টি শিরু।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গ্রেপ্তার চারজন হলো- মিজমিজি পাইনাদি এলাকার আ. মালেক সরকারের ছেলে মো. জুম্মান সরকার (৪৩), কদমতলী এলাকার মৃত মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো. তাজুল ইসলাম (৪৪), জালকুড়ি পুরাতন সাউদবাড়ী এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে মো. খোরশেদ আলম (৫৪) এবং কলাবাগ এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে রহিম উদ্দিন।

বন্দর থানায় গ্রেপ্তার একজন হলো- ধামগড় উপজেলার সেনেরবাড়ী এলাকার মৃত হাজী সোনা মিয়ার ছেলে হাজী মো. মঞ্জু (৫৫)।

রূপগঞ্জ থেকে ভোলানাথপুর এলাকার মো. শামছুল হকের ছেলে শহিদুল ইসলাম শ্রাবন (৩২)।

আড়াইহাজার থানায় গ্রেপ্তার পাঁচজন হলো- নাগেরচর এলাকার মো. রমিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আজিজুল্লাহ (৩০), ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের সাহাবুদ্দিনের ছেলে মজিবুর রহমান (৬৪), গোপালদী পৌরসভার মৃত জয়নাল কমিশনারের ছেলে ইউসুফ আলী ইমন (২৬), একই এলাকার মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. রিফাত হোসেন (২৮), একই এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে ছাব্বির (২১)। 

এছাড়া গত শুক্রবার জেলার সাতটি থানায় স্থাপিত সাতটি চেকপোস্টে অভিযান চালিয়ে ৩১৯টি যানবহন এবং ৩৪৭ টি মোটরসাইকেল তল্লাশি করা হয়েছে। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৪টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে এবং ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে ১৬ ডিসেম্বর অপারেশন ডেভিল হান্টে ১৯ জন, ১৭ ডিসেম্বর ২৬ জন এবং ১৮ ডিসেম্বর ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়