নারায়ণগঞ্জ-৫: মনোনয়ন পেয়েছেন দাবি সাখাওয়াতের
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান। তাকে গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দলীয় কার্যালয়ে ডেকে আসনটিতে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য বলা হয়েছে বলে জানান এ বিএনপি নেতা।
তিনি শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলেও জানান।
সাখাওয়াত বলেন, “নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আমাকে গতকাল (শুক্রবার) নির্বাচন করার কথা বলেছে। আমি আজ (শনিবার) নমিনেশন পেপার নিয়ে আসছি। দল আমার উপর যে দায়িত্ব দিয়েছে আমি তা যথাযথভাবে পালন করবো ধানের শীষকে বিজয়ী করে আনার মাধ্যমে। আশা করি, বন্দর ও নারায়ণগঞ্জের মানুষ রাজপথে আমার আন্দোলন-সংগ্রাম বিবেচনা করে আগামী যে নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করবে।”
“আমাকে দল আজ প্রার্থী হিসেবে প্রশিক্ষণও দিয়েছে। আমিসহ এ প্রশিক্ষণে ১০০ জন প্রার্থী ছিলেন। এর আগে আরও ২০০ জন প্রার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে”, যোগ করেন সাখাওয়াত।
সাখাওয়াত হোসেন খান ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাতখুনের ঘটনার পর বাদীপক্ষের আইনজীবী হয়ে আলোচনায় আসেন। এ আইনজীবী ওই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে সারাদেশে পরিচিত পান। এ পরিচিতি তাকে ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন পেতে সহযোগিতা করে। যদিও ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করা সাখাওয়াত।
পরে ২০১৮ সালেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির এ নেতা। কিন্তু সেবার তিনি মনোনয়ন পাননি। দল নির্বাচনী জোটের শরিক দলকে আসনটি ছেড়ে দেয়। ওই নির্বাচনে নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম ধানের শীষ নিয়ে ভোট করেন। যদিও বিতর্কিত ওই নির্বাচনে আসনটি বাগিয়ে নেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমান।
এবারও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন। কিন্তু গত ৩ নভেম্বর সারাদেশে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার সময় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ব্যবসায়ী নেতা ও ক্রীড়া সংগঠক মাসুদুজ্জামান মাসুদের নাম ঘোষণা করে।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর টানা গণসংযোগে ছিলেন মাসুদুজ্জামান। কিন্তু গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে হঠাৎ এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে মাসুদুজ্জামান বলেন, পরিবারের সদস্যরা তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় থাকায় তিনি নির্বাচন করবেন না।
তবে, গত ১৯ ডিসেম্বর নেতা-কর্মীদের চাপে তিনি পুনরায় নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তার নির্বাচনে ফেরার এই ঘোষণার পরদিনই সাখাওয়াত হোসেন দাবি করেছেন, তিনি দলটি থেকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন।





































