সাখাওয়াতের মনোনয়ন দাবির পর টিপু: “ইনসাফের মায়ের মৃত্যু হয়েছে”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হতাশা প্রকাশ করে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ইনসাফের মায়ের মৃত্যু হয়েছে।”
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে তিনি এ স্ট্যাটাস দেন।
তিনি লিখেছেন, “ইনসাফের মায়ের মৃত্যু হয়েছে! যেখানে ইনসাফ নেই, সেখানে বলার কিছুই থাকে না। যেকোনো স্থানে একজনই সব কিছু বার, বার পাবে, আর অন্যরা আঙ্গুল চুষবো।”
হতাশা প্রকাশ করে আরও লেখেন, “মেয়র প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল, এমপি প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হলেও তা ভুল হবে না। ত্যাগ ও যোগ্যতা একজনেরই, বাকি সব কলুর বলদ। গাধার মত খাটবে একজন, আর ফলাফল দেওয়া হবে আরেকজনকে।”
এদিকে, শনিবার সকাল থেকে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানের সমর্থকরা ফেসবুকে প্রচার করতে থাকেন যে, তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। বিকেলে যোগাযোগ করা হলে সাখাওয়াত হোসেনও এ প্রতিবেদকের কাছে দবি করেন, তাকে শুক্রবার দল ডেকে আসনটিতে নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি দলটির মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন।
আসনটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আবু আল ইউসুফ খান টিপুও। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাখাওয়াত হোসেনের নাম উল্লেখ না করলেও তার মনোনয়ন দাবির কয়েক ঘন্টা পরই টিপুর স্ট্যাটাসে অনেকেই বলছেন, তিনি মূলত সাখাওয়াত হোসেনকে উদ্দেশ্য করেই স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন।
বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা বলছেন, ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন সাখাওয়াত হোসেন খান। ধানের শীষের এ প্রার্থী যদিও ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। বিএনপি নেতা টিপুর স্ট্যাটাসে ‘মেয়র প্রার্থীর’ বিষয়টিই নির্দেশ করে যে, তিনি সাখাওয়াত হোসেনকে উদ্দেশ্য করেই এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর সারাদেশে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার সময় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ব্যবসায়ী নেতা ও ক্রীড়া সংগঠক মাসুদুজ্জামান মাসুদের নাম ঘোষণা করে।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর টানা গণসংযোগে ছিলেন মাসুদুজ্জামান। কিন্তু গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে হঠাৎ এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে মাসুদুজ্জামান বলেন, পরিবারের সদস্যরা তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় থাকায় তিনি নির্বাচন করবেন না।
তবে, গত ১৯ ডিসেম্বর নেতা-কর্মীদের চাপে তিনি পুনরায় নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।





































