মনোনয়ন পরিবর্তন নিয়ে দলীয় নির্দেশনা আসে নাই: বাবুল
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেছেন, “মনোনয়ন পরিবর্তন নিয়ে এখন পর্যন্ত দলীয় কোনো নির্দেশনা আসে নাই। আর এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। মনোনয়ন পরিবর্তন হলে তো একটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবে। যেমন মাসুদের নাম একটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে আসছে, আমরা এটা সবাই শুনছি।”
“তারপরও আমরা চেয়েছিলাম যেন সেটা প্রত্যাহার করা হোক। কিন্তু আমাদের চাওয়ার আগেই মাসুদ নিজেই প্রত্যাহার করেছে। পরবর্তী পর্যায়ে যে আমরা তিনজন আছি, এ ব্যাপারে তো কোনো আনুষ্ঠানিকতা হয়নি”, যোগ করেন তিনি।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে এসব কথা বলেন তিনি।
বাবুল বলেন, “সে (সাখাওয়াত হোসেন) কোনো বিভ্রান্তি করছে নাকি তার সাথে টেলিফোনে কথা হয়েছে, সেটা তো জানি না। সে যখন বলতেছে, তাহলে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো কারণ আছে। তবে, ফাইনালি যদি হয় তাহলে অবশ্যই তার সঙ্গে কাজ করবো। এ বিষয়ে তো আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ।”
গত ৩ নভেম্বর সারাদেশে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার সময় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ব্যবসায়ী নেতা ও ক্রীড়া সংগঠক মাসুদুজ্জামান মাসুদের নাম ঘোষণা করে। তবে, এ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে একাট্টা ছিলেন অপর চার মনোনয়ন প্রত্যাশী- বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু এবং বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল। যদিও পরে মাসুদের পক্ষে কাজ করতে শুরু করেন টিপু। কিন্তু বাকি তিন নেতা আগের সিদ্ধান্তেই অবিচল ছিলেন বলে দেখা যায়।
মাসুদ ছাড়া বাকিদের কেউ মনোনয়ন পেলে তার পক্ষে কাজ করবেন জানিয়ে মুঠোফোনে বাবুল বলেন, “আমাকে, কালাম সাহেবকে এবং সাখাওয়াতকে; এই তিনজনের মধ্যে যাকে দিবে তার সঙ্গেই কাজ করবো। এ বিষয়ে আমরা কমিটেড। মাসুদের ক্ষেত্রে আমরা বিরোধীতা করেছিলাম, কারণ তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি মাত্র আড়াইমাস আগে দলের সঙ্গে যুক্ত হইছেন।”
এদিকে, দলীয় মনোনয়ন ফরম নিবেন বলেও জানান এ ব্যবসায়ী।





































