সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী পূর্বপাড়া এলাকায় ঘরের ভেতর বিস্ফোরণের পর আগুনে হতাহতের ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এ সময় তারা দগ্ধদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা নিশ্চিতে প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে পাইনাদী পূর্বপাড়া এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শিমরাইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে থামে। পরে সেখানে মানববন্ধন কমূসূচি পালন করেন এলাকাবাসী। এ সময় প্রায় ৩০ মিনিট মহাসড়কটির সার্ভিস লেনে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যথাযথ তদন্ত না করে দুর্ঘটনাটিকে বিদ্যুতের শর্টসার্কিটজনিত ফ্রিজ বিস্ফোরণ বলে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়েছেন। অথচ ঘটনার পর থেকে এলাকায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গ্যাসের লিকেজ থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলেও দাবি তাদের।
এ সময় এলাকাবাসী আরও বলেন, “বাড়ির মালিক জাকির খন্দকার ভিলা নামের ওই ভবনে অবৈধভাবে নির্মাণ করলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিস্ফোরণের পর থেকে মালিক জাকির হোসেন পালিয়ে রয়েছেন এবং দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য কোনো উদ্যোগ নেননি।”
প্রতিবাদকারীরা জানান, বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে বৃদ্ধা তাহেরা বেগম (৬৫) এবং তার নাতি ইমাম মারা গেছেন। অন্য সাতজনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ঘটনার চার দিন পার হলেও জেলা প্রশাসন বা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কেউ দগ্ধ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াননি।
তারা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দগ্ধদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, তিতাস গ্যাসের অব্যবস্থাপনার জবাবদিহি এবং বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।
মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম, নূর হোসেন, রাসেল, সেলিম, মো. বশির, হুমায়ুন, আমজাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।