২০ আগস্ট ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ১৯ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৮:৩০, ১৯ আগস্ট ২০২৫

আড়াইহাজারে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ২০

আড়াইহাজারে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ২০

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের বাহেরচর ও কাকাইলমোড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং আশপাশের গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার বাহেরচর এলাকায় বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিয়া একে অপরকে আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে বলয় ভারী করার অভিযোগ করেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার পর সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে বেলায়েতের অনুসারী ইদ্রিস আলীর লোকজন জাকারিয়ার অনুসারীদের মারধর করে। এর জের ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

মঙ্গলবার সকালে বেলায়েতপন্থী কাকাইলমোড়ার ইদ্রিস আলীর নেতৃত্বে দা, ছুরি, টেঁটা-বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জাকারিয়া পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। গুরুতর আহত মঞ্জুর হোসেন, মকবুল ও জসিমসহ পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের সময় কাকাইলমোড়ার ইদ্রিস আলী, মঞ্জুর হোসেন, আবেদ আলীসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। প্রথমে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। পরে যৌথবাহিনী গিয়ে নিয়ন্ত্রণ আনে।

ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিয়া অভিযোগ করেন, “ইদ্রিস আলী আসলে আওয়ামী লীগের লোক। সে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মঞ্জুর হোসেনকে নিয়ে সংঘর্ষ করেছে। সে কখনো বিএনপি করে নাই।”

অন্যদিকে ইদ্রিস আলী জানান, “জাকারিয়া খাগকান্দা ইউনিয়ন ওলামা লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় লোকজন নিয়ে আমাদের দশটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

এলাকাবাসী জানায়, বাহেরচর ও কাকাইলমোড়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে মামলা-মোকদ্দমা, গ্রাম্যদলাদলি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বর্তমানে দুই গ্রাম মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০টি মামলা চলমান রয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবারের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে তাদের ধারণা।

আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, “এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলাম বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়