২৫ আগস্ট ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ:

প্রকাশিত: ১৯:৪৩, ২৪ আগস্ট ২০২৫

ফতুল্লা স্টেডিয়ামের করুণ দশা দেখে আবেগাপ্লুত বিসিবি সভাপতি

ফতুল্লা স্টেডিয়ামের করুণ দশা দেখে আবেগাপ্লুত বিসিবি সভাপতি

নারায়ণগঞ্জের ‘শহীদ রিয়া গোপ’ স্টেডিয়াম বা ফতুল্লা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের করুণ দশা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে কোয়াব ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ‘ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড আইডিয়া’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিসিবি সভাপতি বলেন, “এখানে আসার আগে আমি ফতুল্লা স্টেডিয়াম দেখে আসলাম। আমার কান্না পাচ্ছিল, কী করুণ অবস্থা। এখানে আমাদের শাহরিয়ার নাফিজ অস্ট্রেলিয়ার সাথে সেঞ্চুরি করেছিল। সেই মাঠের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ক্রিকেট খেলার বড় উপাদান হলো ফ্যাসিলিটি। সেই ফ্যাসিলিটির যে করুণ অবস্থা তা দেখে এলাম ফতুল্লা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। আমার মনে হয়, এখানে অনেক কিছু করার আছে।”

তিনি নারায়ণগঞ্জে ক্রিকেটের সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, “নারায়ণগঞ্জের ছেলে জিসান টপ-২০ তে অর্ধশতক করেছে। কিন্তু জিসানের যেখানে প্র্যাকটিস করার সুযোগ, তার সাথে ওই ইনিংস মিলাতে পারছিলাম না। এর মধ্য দিয়েই জিসানের মতো খেলোয়াড় উঠে আসছে। এখানে ৩টি উইকেট আছে, আমরা অন্তত ২০টি উইকেট তৈরি করবো। মাঠকে ১২ মাস খেলার উপযোগী করবো। খেলোয়াড়দের ফ্যাসিলিটি বৃদ্ধি করবো এবং জেলা পর্যায়ে অন্তত লেভেল-৩ কোচ নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জকে এতটাই স্বাবলম্বী করতে চাই, যেন খেলোয়াড়দের আর ঢাকায় যেতে না হয়।”

আমিনুল ইসলাম বুলবুল আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জ একটি সম্ভাবনাময় শহর। এখানে নাকি ক্রিকেটার তৈরি হয় না, কিন্তু ক্রিকেটের ইতিহাস তৈরি হয়। আমরা চেষ্টা করবো নারায়ণগঞ্জে একটি হাই পারফর্মিং সেন্টার গড়ে তুলতে। ইনডোর স্টেডিয়াম ও আউটডোর ফ্যাসিলিটি ডেভেলপ করতে পারলে অনায়াসে এখানে হাই পারফর্মিং সেন্টার চালু করা সম্ভব হবে।”

নারায়ণগঞ্জের ক্রীড়া ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জ আমাদের জন্য একটি আইডিওলজিক্যাল জায়গা। আমরা যখন ফুটবল খেলতাম, তখন বড় বড় ফুটবলাররা এখান থেকে আসতেন। ক্রিকেটের ইতিহাসও বেশ বড়। আমি যখন ক্রিকেট খেলতাম, তখন এখানকার খেলোয়াড়দের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের সাথে আমার সুসম্পর্ক তৈরি হয়। তখন বিভিন্ন লীগ অনুষ্ঠিত হতো, এখানকার ক্লাব থেকে খেলোয়াড় উঠে ঢাকায় গিয়ে খেলতো। এখনো ক্রিকেটের প্রতি এখানকার মানুষের যে আগ্রহ দেখলাম, তা আমাকে আনন্দিত করেছে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হুসাইন, সিসিডিএমের সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ, কোয়াব জেলার সভাপতি জাকারিয়া ইমতিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য সাবিত আল হাসান, নূর জামাল হাসান, গোলাম গাউস প্রমুখ।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়