৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২:২৩, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকলেন না মাসুদুজ্জামান

শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকলেন না মাসুদুজ্জামান

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সবচেয়ে আলোচিত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরেই দাঁড়ালেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) শেষদিনেও মনোনয়নপত্র জমা দেননি আলোচিত এ প্রার্থী। যদিও বিএনপির প্রথম পর্যায়ে ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় ছিলেন মাসুদুজ্জামান।

এদিকে, মনোনয়নপত্র জমা না দিলেও সোমবার বিকেলে এক কর্মীসভায় অনুসারী নেতা-কর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এক সময় যুবদলের রাজনীতি সক্রিয় থাকা মাসুদুজ্জামান ব্যবসায় মনোনিবেশ করলে রাজনীতির মাঠে দীর্ঘ বছর সক্রিয় ছিলেন না। তবে, সমাজসেবা, ক্রীড়া ও শিক্ষাখাতেও তিনি বরাবর অবদান রেখে গেছেন। সরাসরি রাজনীতির মাঠে না থাকলেও নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছেন। ব্যবসা অঙ্গণেও নেতৃত্ব দিয়েছেন মাসুদুজ্জামান। ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতিও।

জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী মাসুদুজ্জামান গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার আকাঙ্খা প্রকাশ করেন। কিন্তু শুরু থেকেই বিএনপির শীর্ষ নেতারা তার বিরোধীতা করতে থাকেন। যদিও মাসুদুজ্জামানের ঐক্যের আহ্বানে পরে অনেকেই তার বলয়ে ভিড়তে শুরু করেন। গত সেপ্টেম্বরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন। এবং ৩ নভেম্বর বিএনপির প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মাসুদের নাম ঘোষণাও করা হয়।

আসনটিতে মাসুদকে মনোনীত করলেও দলের মনোনয়ন-বঞ্চিতরা তার বিরুদ্ধে প্রচারণা অব্যাহত রাখেন। কেউ কেউ শুরুতে বিরোধীতা করলেও দলীয় স্বার্থে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করা শুরু করেন। কিন্তু মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম, বর্তমান আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও বিএনপিন্থী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল বিরোধীতা বজায় রাখেন। তারা সংবাদ সম্মেলন করে মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন বাতিলেরও দাবি জানান।

এরই মধ্যে গত ১৬ ডিসেম্বর জরুরি এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিরাপত্তাজনিত কারণের কথা উল্লেখ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। যদিও তিনদিন পর নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আবারও নির্বাচনী মাঠে ফেরেন। কিন্তু ততদিনে সাখাওয়াত ও আবুল কালাম কেন্দ্রে যোগাযোগ শক্ত করে ফেলেন। মাসুদুজ্জামানের নির্বাচনী মাঠে ফেরার ঘোষণা দেবার পরদিনই সাখাওয়াত দাবি করেন, তাকে দল আসনটিতে মনোনীত করেছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন ফরমের একটি চিঠি দেখিয়ে কালামও একই দাবি করেন।

ফলে, এ আসনে বিএনপির আসলে প্রার্থী কে তা নিয়ে যখন নেতা-কর্মী ও ভোটারদের সংশয় বাড়তে থাকে। কিন্তু শেষদিনে কালামের পাশাপাশি সাখাওয়াত ও বাবুল মনোনয়নপত্র জমা দিলেও মাসুদুজ্জামান দেননি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়