নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে কালামের সাথে সাখাওয়াত-বাবুলের মনোনয়নপত্র জমা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির একাধিক নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রায়হান কবিরের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি থেকে মোট ছয়জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তারা হলেন—মাসুদুজ্জামান মাসুদ, সাবেক এমপি আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসূফ খান টিপু এবং মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল।
এ আসনে গত ৩ নভেম্বর বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও ব্যবসায়ী নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদকে। তবে নিরাপত্তাসহ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি ১৬ ডিসেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে নেতা-কর্মীদের চাপের মুখে তিনি আবার নির্বাচনে ফিরে আসেন।
এদিকে, গত ১৯ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বলে দাবি করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। সে সময় তিনি জানান, দলীয় কার্যালয়ে ডেকে তাকে আসনটিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর দলীয় মনোনয়ন ফরমের কাগজ দেখিয়ে সাবেক তিন বারের সংসদ সদস্য আবুল কালাম দাবি করেন, এ আসনে তিনিই দলীয় মনোনীত প্রার্থী।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসূফ খান টিপুও এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে দলীয়ভাবে মাসুদুজ্জামানের নাম ঘোষণা হলে প্রথমদিকে তিনি বিরোধিতা করলেও পরে মাসুদুজ্জামানকে তারেক রহমানের প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করে তার পক্ষে অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। মাসুদুজ্জামান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলে তাকে নির্বাচনে ফেরাতে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করেন টিপু।
অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল নিজে উপস্থিত না থেকে তার অনুসারীদের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দেন। যদিও এর আগে তিনি প্রকাশ্যে সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালামকে সমর্থন জানান।
যদিও আগামী ২১ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়। সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে একাধিক দাবিদার ও পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে দলটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। বিএনপির প্রার্থী—তা নিয়ে নেতা-কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে রয়েছে অনিশ্চয়তা। এখন দেখার বিষয় কিভাবে দলীয় বিরোধ ও গ্রুপিংকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী।





































