নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি জোটের প্রার্থী কাসেমী
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমিয়তে ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এই আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী থাকবে না।
২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনোনয়নে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন মনির হোসাইন কাসেমী। সে নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন। এবং বিতর্কিত নির্বাচনে পরাজিত হন। তখন তিনি নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিতে প্রথমবার আলোচনায় আসেন। মনির হোসেন কাসেমী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার মুহতামিম। একই সঙ্গে তিনি কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের অর্থ সম্পাদক ছিলেন। এবারও তার নাম আলোচনায় আসে সারাদেশে যখন প্রথম ধাপে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয় সেখানে বাদ রাখা হয় নারায়ণগঞ্জ -৪। অনেকের ধারণা ছিলো তিনিই আবার এ আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন। সব গুঞ্জন শেষে মনির হোসাইন কাসেমী আবারও মনোনীত হলেন এ আসনে।
২০১৮ সালে জোটের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করলেও এবার নির্বাচন কমিশনের সংশোধীত নিয়ম অনুযায়ী সে সুযোগ থাকছে না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী তার দলের নিজস্ব প্রতীক খেজুর গাছ প্রতীকে লড়তে হবে তাকে।
অন্যদিকে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন দলের একাধিক নেতা। সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও ব্যবসায়ী নেতা এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ আলম এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি'র সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ- নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এ আসনে তাদের সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন জেলা ও থানা পর্যায়ের আরও কয়েকজন সক্রিয় নেতা তার মধ্যে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, এবং জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। তারা নিজ নিজ বলয় ও অনুসারীদের নিয়ে দলীয় নানা কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছিলেন।
তবে মনোনয়ন না পেলেও এর আগে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ আলম এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি'র সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ- নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ধারণা তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন। তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নানা গুঞ্জন রয়েছে।
কাসেমীর মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির অনেক নেতা মনে করছেন কৌশলগতভাবে কাসেমীর জন্য এ আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ দলীয় হাইকমান্ডের জাতীয় রাজনীতির অংশ।
অন্যদিকে কাসেমীর মনোনয়নে হতাশা প্রকাশ করেছে বিএনপির একাধিক নেতা। তাদের ভাষ্য, দলের দীর্ঘদিনের ঘাঁটি অন্য কারও হাতে ছেড়ে দেওয়াতে তৃণমূলের মনোবল মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে ।





































