২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:১৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

সাখাওয়াতের পর এবার কালামের মনোনয়ন দাবি

সাখাওয়াতের পর এবার কালামের মনোনয়ন দাবি

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে একজন প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরও দু’জন নেতা দাবি করেছেন, তারাই আসনটিতে মনোনয়ন পেয়েছেন। কয়েকদিন আগে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান নিজেকে আসনটিতে ধানের শীষের প্রার্থী বলে দাবি করেন।

এদিকে, আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালামও দলীয় মনোনয়ন ফরমের একটি কাগজ দেখিয়ে দাবি করছেন, তিনিই এ আসনটিতে মনোনীত।
যদিও গত ৩ নভেম্বর স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাদেশে যখন ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণার সময় আসনটিতে মাসুদুজ্জামান মাসুদের নাম ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।

কিন্তু বিপত্তি বাঁধে গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে মাসুদুজ্জামানের জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়ার পর। তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পরিবারের সদস্যরা তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করায় তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।

যদিও এ বিষয়টি সহজভাবে নেয়নি বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তারা তাৎক্ষনিক প্রতিবাদও জানান। মাসুদুজ্জামানকে নির্বাচনী মাঠে ফেরাতে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশও করেন। এমনকি প্রার্থীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে জড়ো হয়েও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। পরে ১৯ ডিসেম্বর নেতা-কর্মীদের অনুরোধে নির্বাচনী মাঠে ফেরার ঘোষণা দেন মাসুদুজ্জামান। তিনি এরপর আবারও মাঠে গণসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

কিন্তু মাসুদুজ্জামানের নির্বাচনী মাঠে ফেরার ঘোষণার পরদিনই সাখাওয়াত হোসেন দাবি করেন, দল তাকে আসনটিতে নির্বাচন করার নির্দেশনা দিয়েছে। তিনিই এখন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।

তার এই দাবির পর দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা যায়। এই বিভ্রান্তি কাটার আগেই বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম দাবি করেন, তিনি আসনটিতে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী।

কালামের অনুসারী নেতা-কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলীয় প্যাডে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আবুল কালামের নাম উল্লেখিত একটি কাগজও ছড়িয়ে দেন। ওই কাগজটিতে গত ১৮ ডিসেম্বরের তারিখ উল্লেখ থাকলেও সেটি প্রকাশ পায় ছয়দিন পর। এতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তির মাত্রা আরও বাড়ে। এমনকি সাধারণ ভোটাররাও এ নিয়ে দ্বিধান্বিত। আসনটিতে আসলে ধানের শীষের কান্ডারি কে তা এখনো পরিষ্কার হয়নি।

তবে, মাসুদুজ্জামান মাসুদ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ জানান।

তার অনুসারী নেতাদের দাবি, আনুষ্ঠানিকভাবে দল মাসুদুজ্জামান মাসুদের নাম ঘোষণা করেছে। তারপর দুই নেতা দাবি করলেও তাদের বিষয়ে দল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি। সে বিবেচনায় এখনো আসনটিতে ধানের শীষের প্রার্থী মাসুদুজ্জামানই।

এদিকে, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানও বলেন, “কে ফাইনাল এইটা সেন্ট্রাল জানে। সেন্ট্রাল থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তখনই আসনটিতে কে চূড়ান্ত প্রার্থী তা সবাই জানতে পারবে।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়