১৯ নভেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:১২, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ২০:৩৬, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ-৩: প্রার্থী বদলাতে তারেক রহমানের কাছে নালিশ

নারায়ণগঞ্জ-৩: প্রার্থী বদলাতে তারেক রহমানের কাছে নালিশ

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিরুদ্ধে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে লিখিত দিয়েছেন এ আসনে মনোনয়ন-বঞ্চিত অপর সাত নেতা।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযোগটি জমা দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমের রাজধানীর বনানীর বাসায় বৈঠকে বসেন ওই নেতারা।

বৈঠক শেষে তারা অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন।

অভিযোগপত্রে রেজাউল করিম ছাড়াও স্বাক্ষর করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ওয়ালিউর রহমান আপেল, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু জাফর, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আল মুজাহিদ মল্লিক।

তারা সকলেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও সোনারগাঁ উপজেলা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয়বাদী দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু গত ৩ নভেম্বর স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে আসনটিতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মান্নান সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপিরও সভাপতি।

গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আসনটিতে বিএনপি তাকে ধানের শীষের প্রার্থী করেছিল।

এদিকে, কেন্দ্র ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া অভিযোগে দলটির সাত নেতা ধানের শীষের প্রার্থীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিরও অভিযোগ তোলেন। আসনটিতে ধানের শীষের আজহারুল ইসলাম মান্নানের চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীও অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন বলেও উল্লেখ করেন তারা।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, “সোনারগাঁ একটি ঐতিহাসিক এবং সিদ্ধিরগঞ্জ একটি শিল্পসমৃদ্ধ বাণিজ্যিক এলাকা। এ নির্বাচনী এলাকার মানুষের প্রত্যাশা শিক্ষিত, অভিজ্ঞ এবং যোগ্য যে কোন ব্যক্তি যাতে বিএনপি দলীয় এমপি হয়ে সংসদে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রাথমিকভাবে দলীয় মনোনয়ন আজহারুল ইসলাম মান্নানকে দেওয়ায় সর্বস্তরের মানুষ হতাশ হয়েছে এবং এই মনোনয়ন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল তাদের দলীয় প্রার্থী যাকে দিয়েছে সে স্থানীয় সুনামধন্য কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও পিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া...কিন্তু আজহারুল ইসলাম মান্নানের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই।”

মান্নানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখল, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের পুনর্বাসন এবং দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য প্রদানেরও অভিযোগ করেন রেজাউল করিম, গিয়াসউদ্দিন ও অন্যরা।

তারা আসনটিতে মান্নানের পরিবের্ত তাদের মধ্য কাউকে ধানের শীষের প্রার্থী করারও দাবি জানান।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জে মান্নানের বিরুদ্ধে মিছিলও করে মনোনয়ন-বঞ্চিতদের অনুসারী নেতা-কর্মীরা।

এ বিষয়ে ধানের শীষের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, “আমি জনগণের সন্তান। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আমার শক্তি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষ আমাকে ভালোবাসে, তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই আমার পথের দিশা। ইনশাআল্লাহ নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করে এই আসন আগামীর নেতার হাতে তুলে দেবো।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়