হাতেমকে ‘গণঅভ্যুত্থানের শত্রু’ বললেন এনসিপি নেতা আল আমিন
						
									এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল বিপর্যয় ও উত্তরণের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীক সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমকে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল-আলামিন। হাতেমকে অভ্যুত্থানের শত্রু অ্যাখ্যা দিয়ে তাকে এ আয়োজনে স্পেস দেয়া উচিৎ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে শহরের শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল্লাহ আল আলামিন বলেছেন, “আজ আসার পর দেখলাম একজন স্টেজে এসে ছাত্ররা কিভাবে পড়ালেখা করবে, রেজাল্ট ভালো করবে ওই পরামর্শ দিচ্ছেন এমন ব্যক্তি; যেই ব্যক্তি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনার মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে কিভাবে ছাত্রদের আন্দোলন দমন করতে হবে সেই অনুরোধ করেছিলেন। এই ধরনের ব্যক্তি, গণঅভ্যুত্থানের এই ধরনের শত্রু; যারা সারাজীবন দালালি করে চলছে ওসমান পরিবারের। তাদেরকে আমরা একটা পদের কারণে সে একটা সমিতির সভাপতি হওয়ার কারণে আমরা তাকে স্পেস দিতে পারি না।”
তিনি আরও বলেন, “আন্দোলন চলাকালীন সময়ে শেখ হাসিনার সামনে দাঁড়িয়ে সে বলেছে ছাত্রদের দমনের ব্যাপারে। তাকে আমরা এই স্পেস দিতে পারি না। খুবই দুঃখজনক লেগেছে যে, নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমরা এগুলো জানি। জানার পরেও কেন আমরা এটা করি? আমরা কি সব ভুলে গেলাম। এই ভুলে যাওয়া আমাদের উচিত হয় নাই।”
এর আগে এই এনপিসি নেতা বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক নানান ধরনের জটিলতা হয়েছে মানে ম্যানেজিং কমিটি এড কমিটি কোথাও কমিটি নাই কোথাও অধ্যক্ষ বা শিক্ষক আছে নাই বা নানান ধরনের ইস্যু সৃষ্টি হয়েছে। এইজন্য এক ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ছিল যেই ধরনের চেইন অফ কমান্ডে স্কুল কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলে ওভাবে চলতে পারেনি। ছাত্রদের মধ্যেও গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রিক একটা ট্রমা আছে। আমরা যখন শহীদ পরিবার বা আহতদের সাথে কাজ করি, আন্দোলনকারীদের মধ্যে এক ধরনের ট্রমা আছে। তাদের যে আবার পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে হবে। সে মানসিকতা সবার হয়ে ওঠে নাই। আমরা যেই প্রফেশনে ছিলাম অভুত্থানের পরে আবার যে আমাদের কাজটা আমরা করব এই মানসিকতাটা হয় নাই। তো আমাদের পুরা ন্যাশনাল একটা গ্রুমিং এর প্রয়োজন।
আল-আমিন বলেন, “গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীতে আমরা দেখছিলাম যে, একিলিস হিল বলতে একটা ব্যাপার আছে। একিলিসের মতো এত বছরে হাসিনা প্রশ্নফাস, জালিয়াতি অটোপাসের মতো নানা ধরনের বড় বড় লুপস তারা রেখে দিছে। কিন্তু তারা উপস্থাপন করছে একটা বিশাল সাফল্য। এই দুর্বলতাটা আমরা উপলব্ধি করতে পারছি এটা সামনে আমাদের জেনারেশন, ছাত্র, দেশের জন্য ভালো হবে।”
							




































