০৮ আগস্ট ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ:

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ৭ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ২১:৩৫, ৭ আগস্ট ২০২৫

রংধনুর রফিকের বিরুদ্ধে ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের মামলা, সম্পত্তি ক্রোক

রংধনুর রফিকের বিরুদ্ধে ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের মামলা, সম্পত্তি ক্রোক

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৮৭৮ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 

একইসঙ্গে আদালতের আদেশে ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ১৭ কোটি টাকা এবং যমুনা ফিউচার পার্কের ১ লাখ বর্গফুট বাণিজ্যিক স্পেস ক্রোক করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান। 

রফিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। এ আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি কায়েতপাড়ার নাওড়া গ্রামে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েই তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জে জমি দখলের অসংখ্য অভিযোগ ওঠে।  তিনি বসুন্ধরা গ্রুপেরও পরিচালক ছিলেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডির কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন জানান, রংধনু গ্রুপের মালিক রফিকুল ইসলাম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে মানিলন্ডারিং অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে সিআইডি।পুলিশের বিশেষায়িত এ সংস্থার সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, রফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি কিংবা জমি ক্রয় করে তা পুনরায় বিক্রি করে আসছিল। এই প্রক্রিয়ায় তার ছেলে কাউসার আহমেদ অপু ও সহযোগী মেহেদী হাসান দিপু ২০২২ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কাছে ৭ দশমিক ৫৭৫১ একর জমি বিক্রি করেন। 

এরপর ২০২২ সালের ১ জুন ওই জমির মধ্যে ৬ দশমিক ৩৩৭৫ একর জমি আবারো বিক্রি করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি লিমিটেডের কাছে। এই বিক্রির মাধ্যমে তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ৫৭ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা উপার্জন করেন বলে দাবি করেছে সিআইডি। 

এছাড়াও পুলিশ সমবায় সমিতিতে বালিভরাট সংক্রান্ত ভুয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ২৭০ কোটি এবং ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২০০ কোটি টাকার ঋণ গ্রহণ করেন তারা। 

একইভাবে, ইসলামী ব্যাংকের বারিধারা শাখা থেকে জাল মূল্যায়ন কপির মাধ্যমে আরও ৪০০ কোটি টাকার ঋণ নেন। এসব ঋণের অর্থ পরিশোধ না করে বিদেশে পাচার করা হয় বলে সিআইডির দাবি। 

এ অর্থের একাংশ ব্যবহার করে রফিকুল ইসলাম ক্যারাবিয়ান অঞ্চলের দেশ অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। এজন্য তিনি ২০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেন বলে জানিয়েছে সিআইডি। 

সিআইডির ভাষ্যমতে, এই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ পাচার কার্যক্রম “মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)” এর ২ এর শ(৫), (৬), ও (১৪) ধারার অপরাধ হিসেবে গণ্য।
এ ঘটনায় গুলশান থানায় বৃহস্পতিবার মামলাটি (নং-১৪) দায়ের করা হয়েছে। মামলা হয়েছে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ৪ ধারায়। 

একই সঙ্গে রফিকুলের ১৩টি ব্যাংক হিসাবের প্রায় ১৭ কোটি টাকা এবং যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল-২ এর এক লাখ বর্গফুট বাণিজ্যিক স্থান আদালতের আদেশে ক্রোক করে সিআইডি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়