০৩ আগস্ট ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ২ আগস্ট ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে জনি হত্যা মামলার বাদী ও স্বজনদের হুমকির অভিযোগ

সিদ্ধিরগঞ্জে জনি হত্যা মামলার বাদী ও স্বজনদের হুমকির অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জনি হত্যা মামলার বাদী ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন নিহতের পিতা শুক্কুর আলী, স্ত্রী ইভা আক্তারসহ স্বজনেরা। এ সময় তারা মামলার পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মানববন্ধনে নিহতের স্ত্রী ইভা আক্তার বলেন, “আমাকে যারা অল্প বয়সে বিধবা আর আমার ৩ বছরের প্রতিবন্ধী সন্তানকে এতিম করেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই। হত্যার পর এখন তারা হুমকি দিচ্ছে, যাতে মামলা তুলে নেই।”

নিহতের পিতা ও মামলার বাদী শুক্কুর আলী বলেন, “আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত ৩ জন আসামি গ্রেফতার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী মহাসিন ভূঁইয়াসহ আরও ৪ জন এখনো পলাতক। তারা লোকজন পাঠিয়ে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।”

নিহতের মা মাজেদা বেগম বলেন, “আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর আমি ও পুত্রবধূ ইভা তাকওয়া ভবনের সামনে গেলে নিরাপত্তারক্ষী আলমগীর আমাদের ঢুকতে দেয়নি। অথচ সে জানতো আমার ছেলেকে ওই ভবনের একটি কক্ষে হত্যা করে লাশ লিফটের হাউজের নর্দমা পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে। আমি এই খুনিদের ফাঁসি চাই।”

বক্তব্য রাখেন নিহতের ভাই জুয়েল, ফাহিম ও বোন সুমাইয়া। এছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন, ফজলুল হক মাদবর, লিটন, মাসুদ, জসিম, আব্দুল মজিদ, সুমন, শাহিন, আসলাম, বাধন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিন দিন পর গত ১৮ জুলাই দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাশারী এলাকার নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের লিফট শ্যাফ্টের নর্দমা পানিতে মাকসুদুল হাসান জনির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ১৯ জুলাই জনির পিতা শুক্কুর আলী ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও আকাশ হোসেনকে পরে গ্রেফতার করে র‌্যাব ও পুলিশ।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, “গ্রেফতার তিন আসামি পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়