গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ছাত্র ফেডারেশনের ‘জুলাই শিখা’

২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ‘জুলাই শিখা’ প্রজ্জ্বলন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা এবং সঞ্চালনা করেন জেলা অর্থ সম্পাদক শাহিন মৃধা। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সহ-সভাপতি সৌরভ সেন, সদস্য রাইসা ইসলাম, মুন্নি আক্তার প্রত্যাশা, মৌমিতা নূর, শেখ সাদি, মাহাদি হাসান, স্বপ্নীল শোভনসহ আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন আঞ্চলিক শাখার নেতাকর্মীরা।
বক্তারা বলেন, “আমরা লড়েছি বুক চিতিয়ে, গুলি আর গুমের ভয়কে উপেক্ষা করে। হাজারো প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণে সংগ্রাম করছি। এই লড়াই চলবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে।”
সভাপতির বক্তব্যে ফারহানা মানিক মুনা বলেন, “নারায়ণগঞ্জকে গডফাদার মুক্ত ও বাংলাদেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে আমরা আন্দোলন করেছি। এই লড়াই শুধু সম্পদের দখল নয়, ইতিহাসের দখল থেকেও মুক্তির লড়াই। আমরা শহীদদের রক্তের প্রতিজ্ঞা ভুলে যাইনি, যাব না।”
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেন, “২৪-এর জনতা চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, গুম-খুনের বিরুদ্ধে লড়েছিল। সেই অভ্যুত্থান ব্যক্তিমালিকানার সম্পত্তি নয়, এটি লাখো জনতার লড়াইয়ের ফসল। এই রক্তের আন্দোলনকে যারা পুঁজি করে ব্যবসা করতে চায়, তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি—এই মুক্তিযুদ্ধ, এই অভ্যুত্থান কারো একার নয়।”
পরে ‘জুলাই শিখা’ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন র্যাপার সেজান (‘কথা কও’ খ্যাত), র্যাপার তাকবির হোসেন (বাংলাদেশ আন্ডারগ্রাউন্ড), শহিদুল শিশির (নিষিদ্ধ ব্যান্ড) এবং অভিজিৎ দাস (নাইট্রেইন ব্যান্ড)।
এসময় উপস্থিত ছিলেন— গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর সমন্বয়কারী বিপ্লব খান, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার, জেলা সদস্য আওলাদ হোসেন, রাইসুল রাব্বি ও শুভ দেব।