মুকুলের উপর হামলা: ডন বজলুসহ আসামি ৪৮

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের উপর হামলার ঘটনায় ৪৮ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী।
তিনি বলেন, রোববার দিবাগত রাত ১২টায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেওয়ান এন্টারপ্রাইজের পক্ষে মোস্তাকুর রহমান বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন: সোনারগাঁ উপজেলার কুতুবপুর এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি বজলুর রহমান (৫৫), একই এলাকার মৃত আলীর ছেলে মো. রাসেল (৪৪), আলী আক্কাছের ছেলে মো. কামাল ওরফে কেরা কামাল (৪৪), ফজুর রহমানের ছেলে মো. গোলজার হোসেন (৪৮), মো. কাশেমের ছেলে মো. নাদিম (৩৮), মৃত আবুল বাশারের ছেলে আব্দুল করিম নোমান (৩৫), মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে মো. আকাশ (২৫), মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. সেলিম (৪৫) ও মো. শামিম (৪২), মৃত মগবুল হোসেনের ছেলে মো. শাহাজালাল (৪০), মৃত ছালিম উদ্দিনের ছেলে মো. হযরত আলী (৫৬), মো. রফিকের ছেলে রাজ মিয়া (৫৫), সাদেক আলীর ছেলে মো. সাইদুর ওরফে সাইফুল (৪৪), মৃত লতিফের ছেলে মো. হানিফ (৪২), ফজলুর রহমানের ছেলে মো. আক্তার (৪৫), মিছির আলীর ছেলে ইসমাইল (৫৮), বশির উদ্দিনের ছেলে মো. খালেক (৫৮) আলী আক্কাছ (৩৬) এবং অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জন।
মামলার এজাহারে বাদী বলেন, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন যাবৎ মের্সাস দেওয়ান এন্টার প্রাইজের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। সম্প্রতি মেসার্স দেওয়ান এন্টার প্রাইজ টেন্ডারের মাধ্যমে হরিপুর ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টিআই কাজের কার্যাদেশ পেয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকা জমা করে। বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মুকুল ওই কাজে সাব কন্ট্রাক্ট পান।
“গত ২৯ জুন দুপুর সাড়ে ১২টায় সময় আতাউর রহমান মুকুল, আমি, সোবহান ও কাউছার হরিপুর বিদুৎ কেন্দ্রে চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য গেলে অভিযুক্তরা অতর্কিতভাবে আমাদের গাড়ির চারদিকে ঘেরাও করে গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে গাড়িতে থাকা অবস্থায় মতিউর রহমান বজলুর নির্দেশে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়া আমাদের কাছে পূর্বের দাবিকৃত টাকা চাঁদা ফের দাবি করে। এবং বলে যে, চাঁদার টাকা না দিলে কোন চুক্তি স্বাক্ষর করিতে দিবে না। আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্তরা আমাদের গাড়ি থেকে টেনে হেচড়ে নামায় এবং আতাউর রহমান মুকুলেল জামা-কাপড় ছিলে ফেলে। হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে আতাউর রহমান মুকুলের মাথার ডান পাশে ও ডান পায়ের পাতায় ডান আঘাত করে। একই সাথে বাকিদের উপরও আঘাত করে। এ সময় আতাউর রহমান মুকুলের দেড় লাখ টাকা মূল্যের একটি আইফোন এবং সঙ্গে থাকা এক লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়া যায়।”
ওসি লিয়াকত আলী বলেন, “গতকাল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”