১৬ জুলাই ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ১৫ জুলাই ২০২৫

নেতাকর্মীদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান মামুন মাহমুদের

নেতাকর্মীদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান মামুন মাহমুদের

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের দীর্ঘ ১৬ বছর ও তার আগে আরও বহু আন্দোলন সংগ্রামের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের ইতিহাস হলো- দেশপ্রেম, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ইতিহাস। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। আমাদের জননেতা তারেক রহমানের হাত ধরে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এবং গণতন্ত্রের স্থায়ী রুপ পাবে।”

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া এলাকায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “অতীতের নেতৃত্ব ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশকে ঐক্যবদ্ধ্য করার সুযোগ ছিল। এই দেশ সকলে মিলে যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছে। কিন্তু একটি দল ক্ষমতা গ্রহণ করে অন্যদের বাদ দিয়ে দেয়। সকলের অধিকার হরণ করে।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করতে চান জানিয়ে মামুন মাহমুদ বলেন, “কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, যদি জনগণের ভোটে বিএনপি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তাহলে সকল দলকে নিয়ে বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে। এবং সেই জাতীয় সরকার এ সকল দলের প্রতিনিধি থাকবে। বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষের প্রতিনিধিরা মিলে আমরা একটি সরকার পরিচালনা করবো এবং সেই সরকারের মাধ্যমে অতীতের রাষ্ট্রের পরিচালনা করতে গিয়ে যত ভুল-ভ্রান্তি, অন্যায়, আপরাধ, দুর্নীতি ও বৈষম্য হয়েছে, তা সবকিছু দূর করে বাংলাদেশকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং স্বনির্ভর বাংলাদেশে রূপান্তরিত করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “গত বছর এ দিনগুলোতে স্বৈরাচার থেকে ফ্যাসিস্টে পরিণত হওয়া শেখ হাসিনা দেশে গণহত্যা চালিয়েছিল। আবু সাঈদ পুলিশের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন। কী দুঃসাহসী যোদ্ধা ছিলেন আবু সাঈদ। আমরা ১৯৭১ সালে এই নিরস্ত্র জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লাঠিসোঠা, দা-বটি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এবং এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। আবার ৯০ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ্য হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল এবং এরশাদকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল।”

জেলা বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, “আবার হাসিনা যখন ক্ষমতা দখল করে, তখন আমরা ১৫ বছর ধরে বলেছি হাসিনা অবৈধ প্রধানমন্ত্রী, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। একটি অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বলেছি। বলেছি, জনগণ যদি আপনাকে ভোট দেয় তাহলে আপনি প্রধানমন্ত্রী থাকেন, আমাদের কোন আপওি নাই। কিন্তু সে আমাদের কথা শোনে নাই।”

“আমরা আন্দোলন করেছি, প্রতিবাদ করেছি, বিক্ষোভ করেছি, হরতাল করেছি, অবরোধ করেছি। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনে নাই। তিনি আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে, বিক্ষোভ-মিছিলে বাধা দিয়েছেন, গুলি করেছেন। আমাদেরকে হত্যা করার চেষ্টা করেছেন। আমাদের মধ্যে থেকে অনেক নেতা-কর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন। কিন্তু আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং আগামীতে বাংলাদেশকে যিনি নেতৃত্ব দিতে চান এবং আমাদের দলকে যিনি সুসংগঠিত করে রেখেছেন, সেই তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছি”, যোগ করেন তিনি।

জেলা বিএনপির সদস্য অকিল উদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার মৃধা প্রমুখ।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়