সিপিবি নেতা রবীন্দ্র দাসের শেষ বিদায়ে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য ও বর্ষীয়ান নেতা রবীন্দ্র দাস আর নেই। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় নগর খানপুরে ভাড়াবাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।
শনিবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চাষাঢ়া শহীদ মিনারে মরদেহ রাখা হলে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও বিভিন্ন বাম-গণসংগঠনের পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে— বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটি, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি, শহর কমিটি, নারী সেল, সোনারগাঁ থানা কমিটি, বন্দর থানা কমিটি, ফতুল্লা শাখা, নারায়ণগঞ্জ জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, প্রগতি লেখক সংঘ, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্র, খেলা ঘর নারায়ণগঞ্জ, সমমনা রাজনৈতিক দল ও গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিচারণ করেন— সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্টু ঘোষ, কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী, জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বী, সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রবীন্দ্র দাস ছিলেন একজন নিভৃতচারী, বিনয়ী ও আদর্শিক কমিউনিস্ট। চলনে-বলনে সাদাসিধে, কখনো নেতৃত্বে না থেকেও পার্টির প্রতিটি সাংগঠনিক বিষয়ে ছিলেন সচেতন। ১৯৫১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাদাইয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া রবীন্দ্র দাস ছোটবেলা থেকেই নারায়ণগঞ্জে বসবাস করতেন। আশির দশকে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ গ্রহণের পর থেকে জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলী, সংগঠন বিভাগ ও প্রশিক্ষণ বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। দুইবার স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হবার পরও তিনি পার্টির কাজে সক্রিয় ছিলেন।