কুতুবপুরকে সম্পূর্ণভাবে সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি

নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুর ইউনিয়নকে সম্পূর্ণভাবে সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে “কুতুবপুর ইউনিয়ন সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়ন কমিটি” গঠন করা হয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় এবং সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় পাগলা চিতাশাল শ্মশানঘাট এলাকায় একাধিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কুতুবপুর ইউনিয়নকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আয়োজিত এই সভাগুলোতে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ এবং সঞ্চালনা করেন এস এম কাদির।
বক্তব্য রাখেন কুতুবপুর ইউনিয়ন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নুরুল হক জমাদ্দার, হাজী মো. মজিবুর রহমান, সমাজকর্মী মো. নাসির প্রধান, মনির হোসেন, জাহের মোল্লা, বাবু ফনিন্দ্র চন্দ্র বাড়ৈ, আদালত ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট সুমন ম-ল, আব্দুর রাজ্জাক রাজা, সানাউল ইসলাম সানী, সাইফুল ইসলাম, ডা. মাসুদ রানা, দীন ইসলাম দিলু, আনোয়ার হোসেন দেওয়ান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ৬ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সম্প্রসারণ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠান, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই প্রস্তাবে কুতুবপুর ইউনিয়নের বৃহত্তর অংশ বাদ দিয়ে আংশিক অংশ সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ প্রস্তাবকে তারা অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, “কুতুবপুর ইউনিয়ন বহু আগে থেকেই সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রভাবশালী মহলের বাধার কারণে এই দাবি বাস্তবায়ন হয়নি।”
তারা আরও বলেন, “২০০৯ সাল থেকে আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে আসছি। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন প্রশাসনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি।”
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে হাজী মো. শহিদুল্লাহকে আহ্বায়ক, নুরুল হক জমাদ্দারকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং এস এম কাদিরকে সদস্য সচিব করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নবগঠিত এই কমিটি ঘোষণা করেছে যে, কুতুবপুর ইউনিয়নকে সম্পূর্ণভাবে সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে সংগ্রাম কমিটি গঠন করে আন্দোলনকে আরও সুসংগঠিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।