রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতা পরিদর্শনে প্রশাসন, দখলমুক্ত করলেন খাল

রূপগঞ্জ উপজেলার বেড়িবাঁধ এলাকায় টানা বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। সরকারি খাল দখল ও সঠিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় কাঞ্চন পৌরসভা, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এতে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে এবং পচা পানির কারণে পানিবাহিত রোগও ছড়িয়ে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিনব্যাপী জলাবদ্ধ এলাকায় পরিদর্শনে যান রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পরিদর্শনে সরকারি খাল দখল, বালু ভরাট, গদি ও কারখানা নির্মাণসহ নানা অনিয়মের প্রমাণ মেলে। তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকটি খাল দখলমুক্ত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পরিবেশ ছাড়পত্র সদর দপ্তরের পরিচালক মাসুদ ইকবাল মোহাম্মদ শামীম, নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এএইচএম রাশেদ, পূর্বাচল রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাছবীর হোসেন সুজাসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাছবীর হোসেন জানান, এসব গ্রামে পানি নিষ্কাশনের জন্য যে খালগুলো ছিল, সেগুলো আবাসন প্রকল্প ও শিল্প কারখানার স্থাপনায় দখল হয়ে গেছে। দখল ও ভরাট সরিয়ে দ্রুত খাল খননের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইস্টউড আবাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল উদ্দিন বলেন, তাকে তিন মাসের সময় দেওয়া হয়েছে, তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই সরকারি খাল খনন সম্পন্ন করবেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মাসুদ ইকবাল শামীম জানান, ইস্টউড আবাসনের মাধ্যমে সরকারি খাল ভরাটের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং ইতোমধ্যে ভেকু দিয়ে কয়েকটি খাল খনন করে দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। কোম্পানিকে তিনমাসের সময় দেওয়া হয়েছে দখলকৃত সবগুলো খাল খনন করে দিতে।