পর্দার অন্তরালে থেকেও নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম: মাসুদুজ্জামান
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, তিনি সরাসরি মাঠে না থাকলেও দলের কঠিন সময়ে এবং নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে তাদের পাশে ছিলেন। তিনি বলেন, “এখানে আমি তেমন কেউ না। দায়িত্ব আপনাদের—মহানগর, থানা, ওয়ার্ড, ইউনিট এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের। টিপু ভাই আমার বন্ধু মানুষ হলেও তিনি মহানগর বিএনপির কান্ডারি। কখন কী করতে হবে—সবকিছু তার নখদর্পণে।”
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে মিশনপাড়া এলাকার হোসিয়ারি সমিতির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের নির্বাচনী জনসভা সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তার প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৩-১৪ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাদের জীবনের নিরাপত্তা ও পরিবারগুলোর দায়িত্ব তাকে ব্যবসায়িকভাবে আরও সতর্ক করে রেখেছিল। সে কারণে সরাসরি রাজনীতির মাঠে থাকতে পারেননি। তবে কখনোই দল ও বিশ্বাস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেননি।
মাসুদুজ্জামান জানান, ব্যবসা বড় হতে থাকলে তার যোগাযোগ হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে। এরপর বিভিন্ন সময়ে হামলা-মামলার ঘটনায় তিনি গোপনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানবিক সহায়তা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “অনেক জেলা-উপজেলায় কাজ করেছি। অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পুলিশ নির্যাতন করলে সেই পরিবারকে সহায়তা করেছি। গুলিতে পা হারানো নেতাকে চিকিৎসা দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জের বড় নেতার নির্যাতনের খবরে গোপন ইউনিটের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।”
মাসুদুজ্জামান বলেন, দলের রাজপথের নেতাকর্মীরা ছিলেন বিএনপির প্রকৃত শক্তি। তাদের ত্যাগের তুলনা তিনি কখনোই করতে চান না। “আপনাদের মতো আমরা কখনোই হতে পারবো না। আপনারা রাজপথে না থাকলে আজকের এই দিন আমরা দেখতাম না।”
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর তিনি লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। এতে ভয় বা ঝুঁকি ছিল না। “আমাকে জিজ্ঞেস করলেন কেমন আছেন? বললাম—শ্বাস নিতে পারছি স্বাধীনভাবে।”
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শিশু বয়সে কাছ থেকে দেখা তার রাজনৈতিক বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করেছে বলে জানান তিনি। “ক্লাস থ্রিতে পড়ি, তিনি আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন। পরে জানতে পারি তিনি জিয়া রহমান—সেই থেকে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে যাই।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাতীয়তাবাদী দল সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে। নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দরের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে—বিপুল ভোটে ধানের শীষকে বিজয় করবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ্, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ লিটন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।





































