আরপিও’র সংশোধনী বাতিলের দাবিতে বামজোটের প্রতিবাদ সমাবেশ
আরপিও’র “অগণতান্ত্রিক” সংশোধনী, নির্বাচনী জামানত ও ব্যয়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল এবং কালো টাকা, পেশিশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা ও প্রশাসনিক কারসাজিমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবিতে নারায়ণগঞ্জে বাম গণতান্ত্রিক জোট বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি শিবনাথ চক্রবর্ত্তী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, সিপিবি নেতা এম এ শাহিন, বিমল কান্তি দাস, ইকবাল হোসেন, বাসদ জেলা ফোরামের সদস্য সেলিম মাহমুদ ও এস এম কদির।
বক্তারা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই “স্বেচ্ছাচারীভাবে” আরপিও সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে নির্বাচনে জামানত ও ব্যয়সীমা বৃদ্ধি করে সাধারণ, সৎ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ সংকুচিত করা হচ্ছে। এতে কালো টাকার মালিক ও লুটেরা গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্য বাড়বে বলেও তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সব আসনে ‘না ভোট’ চালুর দাবির বিপরীতে শুধুমাত্র একক প্রার্থী হলে ‘না ভোট’-এর বিধান রাখা হয়েছে, যা অগণতান্ত্রিক। এ ধরনের বিধান ভোটার উপস্থিতি কমিয়ে দেবে।
আইসিটি মামলায় অভিযুক্ত হলেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারা এবং সরকারের উপদেষ্টাদের পদত্যাগ করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণাকেও তারা “অগ্রহণযোগ্য” উল্লেখ করেন।
বক্তারা বলেন, সরকারের সুবিধাভোগী বা উপদেষ্টারা পদত্যাগের পর কমপক্ষে তিন বছর অতিবাহিত না হলে নির্বাচন করতে পারবে না, এ বিধান যুক্ত করা প্রয়োজন।
বক্তারা অবিলম্বে আরপিও সংশোধনী বাতিল ও শতভাগ নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।





































