০২ নভেম্বর ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:০২, ১ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৯:০৪, ১ নভেম্বর ২০২৫

দাড়ি-টুপি পরে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া দলকে ভোট দেওয়া নাজায়েজ: কাসেমী

দাড়ি-টুপি পরে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া দলকে ভোট দেওয়া নাজায়েজ: কাসেমী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলমীকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেছেন, “যারা দাড়ি-টুপি পরেও মানুষকে ধোঁকা দেয়, রাসূল (সা.) ও সাহাবাদের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, তাদের ভোট দেয়া নাজায়েজ, নাজায়েজ, নাজায়েজ।”

শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম আয়োজিক এক সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “যারা আমাদের সাহাবাদের নাম নিয়ে নিয়ে- হযরত আবু বক্করকে (রা.) বলেন তিনি খেলাফতের জন্য উপযুক্ত নন। যে রাজনৈতিক সংগঠন বলে, হযরত উমর (রা.) একজন ব্যভিচারী ছিলেন। যে দলের নেতারা বলেন, পূজা আর রোজা এক, আর যাই হোক বাংলাদেশের ভোটাররা ওই দলের ওই মার্কায় ভোট দিতে পারে না।”

কাসেমী বলেন, যতোই ইসলামের রূপ নিয়ে আসুক- পাল্লা মার্কা, যারা আমাদের সাহাবাদের উপর আস্থা রাখতে পারে না, সেই পাল্লা মার্কাকে দেশের মানুষ ভোট দেয়ার জন্য আস্থাশীল মনে করে না। সাবধান হতে হবে, নিজের আখেরাতও বাঁচাতে হবে আবার দুনিয়াও বাঁচাতে হবে। একজন মানুষ হতে পারে প্যান্ট পরে, শার্ট পরে কিন্তু তার আকিকা সহি, রাসূলকে ভালোবাসে, সাহাবাকে ভালোবাসে সেই দলকে আমি এক হাজার বার প্রাধান্য দেবো। যারা দাড়ি-টুপি পরেও মানুষকে ধোঁকা দেয়, আমার রাসূল, সাহাবা থেকে দূরে করে তাদের ভোট দেয়া নাজায়েজ, নাজায়েজ, নাজায়েজ।

এর আগে তিনি বলেন, “আমরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। রাসূল বলেন, যে ব্যক্তি সূরা ফাতেহা পড়বে না, তার নামাজ হবে না। সূরা ফাতেহার প্রতিপাদ্য হলো, সাহেবা ইকরামদের যে ঈমান, হেদায়েত দিয়েছেন সেই ঈমান, হেদায়েত আমাদের প্রত্যেককে দান করেন। এর মানে হলো যে ইসলাম, ঈমান, হেদায়েত সাহাবাদের সাথে মিলে সেই ইসলাম সহি। আর যে ইসলাম, ঈমান সাহাবাদের সাথে মিলে না, সে ইসলাম ও ঈমান সহি না।”

নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, ব্যবসায়ী নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদ, আবু জাফর আহমেদ বাবুল, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আওলাদে রাসূল আল্লামা সাইদ আল হোসাইনী (পানিস্তান), আল্লামা খলিল আহমাদ কুরাইশী (হাটহাজারী), আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান, আল্লামা আবু তাহের নদভী (পটিয়া), আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মুফতি জসিমুদ্দীন হাটহাজারী, আল্লামা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মুফতি মুবারকুল্লাহ প্রমুখ।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়