২২ জুলাই ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ২১ জুলাই ২০২৫

ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেবে না জনগণ: সাখাওয়াত

ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেবে না জনগণ: সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের অত্যাচার নির্যাতনের সঙ্গী ছিল জাতীয় পার্টি আর পাখা মার্কার পীর সাহেব চরমোনাই। তারা আওয়ামী লীগের অধীনে সকল নির্বাচনে গেছেন। এখন তারা সুফি সাহেব, নিজেদের বিপ্লবী দাবি করে। যে অন্যায় করেছেন, আপনারা জনগণ, নির্বাচনের পক্ষে থাকেন। আপনারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছেন। বাংলাদেশের মানুষ সেটা হতে দিবে না।’ 

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল ৪টায় সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইস্পাহানি বাজারে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচীতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলন হয়েছে বৈষম্য দূর করার জন্য। কিন্তু এনপিসি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, যেন তারা যেটা বলবে প্রশাসন ও অন্যান্য দলগুলো সেটাই হতে হবে। গণতন্ত্রে এটা নেই। আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি অবদান বিএনপির। সে বিএনপিকে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনকে দূর করতে চায়। জনগণ চাইলে কারো অধিকার নাই বাদ দেয়ায়।’

‘গণভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ যে আপরাধ করেছে, সে বিচার বাংলার মাটিতে হবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরা ভালো হয়ে চলবো। আওয়ামী লীগের মতো হওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ যে অপরাধ করছে সেই অপরাধ যদি আমরা করি আমাদের পরিণতিও ওই রকম হবে। আমরা দেশের, জেলার বন্দরের মানুষের সহায়ক শক্তি হতে চাই। জনগণের সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে থাকতে চাই। জনগণ যাতে কোন প্রকার বিএনপির কোন নেতাকর্মী দ্বারা কোন অন্যায় কাজে জড়িত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। যদি কেউ জড়িত থাকে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা থাকতে হবে। নাহলে কি হয় তার নমুনা গোপালগঞ্জে দেখা গেছে। আমরা চাইনা ফ্যাসিস্টরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক। আমরা চাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছে, যদি ২০০ আসন পেলেও বিএনপির একা সরকার গঠন করবে না। সকলকে নিয়ে বিএনপি একটি জাতীয় সরকার গঠন করবে।’ 

নাসিক ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ওয়ার্ডের ইতিপূর্বে আমরা একাদিক প্রোগ্রাম করেছি কিন্তু ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদককে পাইনি। দলে থাকতে হলে দলের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। তিনদিনের মধ্যে দলের নেতৃবৃন্দর সাথে যোগাযোগ করেন। অন্যথায় আপনাকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে যিনি দলের জন্য কাজ করতে পারবে তাকে দায়িত্ব দিবো।’

আমরা এই ওয়ার্ডকে ঐক্যবদ্ধ দেখতে চাই। আগামী নির্বাচনে এ ওয়ার্ডে বিএনপি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হবে। 

সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘অনেকে বিএনপির সদস্যও না কিন্তু বিএনপির নাম করে কর্মসূচী নিচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের মধ্যে বিভৃক্তি সৃষ্টি করছেন। আপনি বিএনপির কি? যে বিএনপির নামে সমাবেশ, মিছিল করেন? দল করতে হলে, দলের নিয়ম, গঠনতন্ত্র মেনে দল করতে হবে। আপনি পরে আসছেন, এখনো সদস্য হন নাই। আইসাই সামনে বসতে চান। এটা সম্ভব না। যারা নির্যাতিত, মামলা-হামলার শিকার হয়েছে তারা সামনে থাকবে আপনি পিছনে থাকবেন। যারা ১৫ বছর নির্যাতিত, আওয়ামী দুঃশাসনের শিকার হয়েছে আমরা তাদের মূল্যায়ন করতে চাই। তাদের নিয়ে আগামী পথ চলতে চাই। যারা নির্বাচন করতে চান, তারা আসছেন মধু খাইতে। দলের ভালো অবস্থা দেখছে আপনারা আইসা পরসেন। মধ্যে বসতে চান, এমপি হতে চান। এটা সম্ভব হবে না। অনেক কথা বলছেন, সে কথায় আমাদের নেতা তারেক রহমান কর্ণাপাত করবে না। এতোদিন বিএনপির জন্য কিছু করেন নাই। সতুরাং এখন আপনারা বিএনপি থেকে কিছু পাবেন না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আগে যারা দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছে। মারসে-ধরসে। আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির পক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম করেছে। প্রকাশ্যে নিলর্জ্জের মতো মিটিং-মিছিলে গেছে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে পথ চলছেন। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা আছে, বহিষ্কৃতদের সাথে দলের কোনো নেতাকর্মী চলাফেরা করতে পারবে না। তাহলে আপনারা এটা করছেন সুতরাং আপনারা বহিষ্কৃত পর্যায়ের লোক।’

ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সফিউদ্দিন সোহেল প্রধানের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজা রিপন। আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, ওয়ার্ড সহ সভাপতি আমানত, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলাম নারু প্রমুখ। 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়