১৯ মে ২০২৫

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:২৭, ১৮ মে ২০২৫

‘সাংবাদিকের লিখনি পক্ষে গেলে বেশ, বিপক্ষে গেলেই শেষ’

‘সাংবাদিকের লিখনি পক্ষে গেলে বেশ, বিপক্ষে গেলেই শেষ’

নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি ও দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার বিল্লাল হোসেন রবিন বলেছেন, ‘সাংবাদিকের লিখনি পক্ষে গেলে বেশ, বিপক্ষে গেলেই শেষ। একজন সাংবাদিক যিনি মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য-প্রণোদিত, কল্পিত-কাহিনীর মামলায় আজকে কারাবন্দি হয়ে আছেন। তার মুক্তির দাবিতে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমরা যারা পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে সাংবাদিকতা করছি, সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলি, মাঠে-ঘাটে থাকি, তাদের মধ্যে একজনের মুক্তির জন্য দাঁড়াতে হচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশাসনের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে।”

রোববার (১৮ মে) দুপুরে চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংবাদিক জান্নাতুল ফেরদৌস জিসানের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

এ মানববন্ধনে সংবাদকর্মীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতারাও সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

এ সময় রবিন বলেন, “প্রশাসনে যারা আছেন তারাও জানেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও যখন রাজনীতি স্তব্ধ হয়েছিল, তখনও কিন্তু গণমাধ্যম কথা বলেছে। জুলাই-বিপ্লবের আন্দোলনে যখন গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল, তখনও গণমাধ্যম জোরালো ভূমিকা রেখেছিল। আজকে সকল কিছুর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নতুন একটি বাংলাদেশ, নতুন একটি সমাজ চেয়েছি। আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে চেয়েছি। কিন্তু আবারও পুরোনো কায়দায় আমাদের টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরে কোনো সরকার, কোনো প্রশাসন কখনও সুফল পায়নি। দিনশেষে গণমাধ্যমের জয় হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, আজকে যারা দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা উপস্থিত হয়েছেন, আমাদের এই ঐক্যবদ্ধতা আগামীতে সাংবাদিকদের জন্য জোরালো ভূমিকা রাখবে। আমরা সাংবাদিকরা একে-অপরের পক্ষে দাঁড়ালে যারা নীলনকশা এঁকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে, তারা হয়তো সতর্ক হবে।”

প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি বলেন, “এইখানে অনেকের বক্তব্যে এসেছে, একটি দলের লোক যারা পুলিশকে প্রভাবিত করছেন এবং পুলিশও প্রভাবিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন, এর ফলাফল কোনোভাবেই ভালো হবে না। সাংবাদিক জিসান ও ফুড ব্লগার মিথুনকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় যেভাবে রাতের অন্ধকারে, এমনকি মামলা রেকর্ড হওয়ার আগেই তাদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা শুনছি ফতুল্লাতেও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় জড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। যারা এগুলো করছেন, তাদের আমরা অনুরোধ জানাবো, এসব জায়গা থেকে সরে আসুন। সাংবাদিকরা রাজপথে নেমে আসলে আপনাদের জন্য তা সুখকর হবে না।”

সারাদেশে সকল সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “প্রশাসনকে কখনই আমরা প্রতিপক্ষ ভাবি না, আপনারাও সেই আচরণ করবেন না, এই আশা করি।”

নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন বলেন, “৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এই অবস্থা দেখার জন্য হয়নি, একটা বড় পরিবর্তনের জন্য হয়েছিল। কিন্তু আমরা দেখছি, তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। কিন্তু বিএনপির কিছু নেতা যা শুরু করেছেন, বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জে যা করেছেন, তাতে আমরা খুবই শঙ্কিত যে, আগামী দিনে তারা ক্ষমতায় আসলে কী করবে। আবার কিছুটা আশাবাদীও, কারণ বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালে দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ সন্ত্রাস করলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হয় নাই। অপারেশন ক্লি হার্ট এবং র‌্যাব তারাই নামিয়েছে। সন্ত্রাসের সাথে জড়ানোর কারণে প্রায় ১০০ জন ক্রসফায়ায়ে মারা গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার এই শহরে যারা অপরাধ করেছে, যে যত বড় অপরাধী ছিল তার তত প্রমোশন হয়েছে। বিগত সরকার অপরাধীদের প্রমোশন দিত। আমরা যতোই লিখতাম কিন্তু কোনো অ্যাকশন ছিল না। যার কারণে ৫ আগস্ট ঘটেছে। নইলে ৫ আগস্টে এত বড় আন্দোলন হতো না। পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কম গণঅভ্যুত্থানে এত বিপুল পরিমাণ বাচ্চারা মারা গেছে। তাদেও (আওয়ামী লীগ) অপকর্মের কারণে।”

সাংবাদিক জীবন বলেন, “নারায়ণগঞ্জে ৫টি আসনে ৫ জন এমপি ছিলেন। তাদের আমলনামা আমরা সবাই জানি। তাদের ছত্রছায়ায় তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী এবং তারা নিজেও অপকর্ম করেছে। ত্বকী হত্যার পর দীর্ঘ একযুগ ধরে আন্দোলন চলেছে কিন্তু কোনো শব্দ ছিল না, তদন্ত বন্ধ ছিল, বিচার হয় নাই। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাদের পুরষ্কৃত করা হয়েছে। এই অবস্থা এখনো চলছে। তবে কিছু ব্যতিক্রম আমরা দেখছি। বর্তমান বিএনপির ভেতরে যদি কেউ অপরাধ করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।”

বিগত সরকারের আমলে পত্রিকা বন্ধ, অনলাইন পোর্টালের ডোমেইন ব্লক, সাংবাদিকদের মামলা-হামলা দিয়ে হয়রানির ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রেস ক্লাবের সম্পাদক বলেন, “নারায়ণগঞ্জ কিন্তু ভিন্ন শহর। এ শহরের মানুষকে চোখ রাঙিয়ে, মামলা, হামলা করে দমানো যায়নি, আগামীতেও যাবে না। অবিলম্বে জিসানের মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর যদি কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়, তাহলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রশাসনের নিউজ বর্জন করা শুরু করবো।”
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তারের সময় বাধা দেয়ার মামলায় জিসান, ফুড ব্লগার মিথুনসত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেদিন ঘটনা ঘটে, আমরা সাংবাদিকরা সবাই নিউজ কভার করতে মেয়রের বাসায় গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে জিসান, মিথুন কেউ ছিল না। মিথুন ওইদিন ছিল কুষ্টিয়ায়। রাত ১২টায় এসে ভোর ৪টায় আবার চলে গেছে। কিন্তু তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটাও মামলা এন্ট্রি হওয়ার আগেই। রাতের মধ্যেই একই পরিবারের তিনজনকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।”

তিনি বলেন, “আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওই এলাকায় শাকিল (মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক) নামে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এক ব্যক্তি মামলা বাণিজ্য করে। মামলা বাণিজ্যের চেষ্টায় সে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করিয়েছে, যাতে এদের উদাহরণ দেখিয়ে অন্যদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারে। এ বাণিজ্য, চাঁদাবাজি নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবার করেছিল। তাদের লাথি মেরে নারায়ণগঞ্জবাসী বিদায় করেছে। আজকে যারা এসব করছেন তাদেরও পরিণত একই হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপির মধ্যে অনেক ভালো মানুষ, নেতা-কর্মী রয়েছে। কিন্তু একটা চাঁদাবাজ চক্রও রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ, গণপূর্ত, খানপুর হাসপাতাল, জেলখানা, ইট-বালু, ইন্টারনেট ব্যবসা, সবকিছু থেকে চাঁদাবাজি করার জন্য বিএনপির একটি চক্র রয়েছে। আমরা শুনি, সেই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আড়াইহাজারের এক নেতা। এই শাকিল এবং অন্যরা যারা শহরে চাঁদাবাজি করে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে খায় তারা ওই নেতার লোক।”

প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যেকোনো মামলা নেওয়ার আগে প্রশাসনকে তদন্ত করতে হবে। এ মামলা নেওয়ার আগেও তদন্ত করা উচিত ছিল। কাদের নাম দিচ্ছে দেখা উচিত ছিল। তদন্ত করলে তো মামলায় একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর নাম, সাংবাদিক, ফুড ব্লগারের নাম আসতে পারে না। এতে প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। কোনো সাংবাদিক বা তার পরিবারকে অযথা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করলে একইভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াবো।”

‘নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকবৃন্দ’র ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী। তিনি বলেন, “আমরা যে উন্নত বন্দোবস্তের কথা বলি, তার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে বাক-স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা। এটা ছাড়া গণতন্ত্র কোনোভাবে পূর্ণতা পাবে না। ৫ আগস্টের পর যে চেতনা নিয়ে আমরা নতুন দেশ গড়ার, সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছিলাম তা প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আমরা নারায়ণগঞ্জে ইতোমধ্যে কয়েকটি ঘটনা দেখেছি। সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ, সাংবাদিকদের হয়রানি, নানাভাবে নির্যাতন করে পক্ষে নিউজ করতে বাধ্য করাসহ নানা ঘটনা আমরা অতীতে গত ফ্যাসিবাদেও আমলে আমরা দেখেছিলাম। এতকিছুর পরও তাদের সম্রাজ্য টিকেনি। আমরা নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করি। আমরা জানি করা এ কাজগুলো করিয়েছেন। আমরা তাদের সাবধান করে বলে দিতে চাই, আপনাদের পরিণতিও ওই ফ্যাসিস্টদের মতোই হবে। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে।”

প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের এই কর্মকান্ড, মামলা, গ্রেপ্তার, মানুষকে হয়রানি করা এগুলো ৫ আগস্টেও গণঅভ্যুত্থান পরিপন্থি। যারা জুলাই অভ্যুত্থানে রক্ত দিয়েছে, জীবনের ভয় না করে রাজপথে দাঁড়িয়েছে তারা এইসব কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রশাসন থেকে প্রত্যাশা করি না। কিন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি একের পর ঘটনা ঘটছে। যে ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল না তাকেও মামলায় ঝড়ানো হচ্ছে। গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে। এই ঘটনার (আইভীকে বহন করা পুলিশের গাড়িতে হামলা) ভিডিও ফুটেজ আছে, এটার সঠিক তদন্ত করুন। আপনারা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিন এবং সাংবাদিক জিসানসহ মিথ্যা মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে নিশর্ত মুক্তি দিতে হবে।”

কথা বলেন জুলাই আন্দোলনের শুরু থেকে নারায়ণগঞ্জে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জান্নাতুল ফেরদৌস জিসান ও তার চাচা শওকত মিথুনের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “আমরা নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে আমাদের কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। তখন আমরা চুনকা পাঠাগারের সামনে দিয়ে ঘুরে আবার চাষাঢ়া আসতাম। আমরা যখন মিছিল নিয়ে যেতাম তখন রাসেল পার্ক থেকে ১৬, ১৭, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ও মর্গ্যান স্কুলের শিক্ষার্থীরা একসাথে হয়ে মিছিলে যুক্ত হতো। ওই মিছিলের সহযোদ্ধা ছিল জান্নাতুল ফেরদৌস জিসান। জুলাই অভ্যুত্থানের বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ব্লগাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সকলে রাখেননি আমরা সেটাও বলছি। যারা রেখেছেন তারা বাংলাদেশ, ছাত্র-জনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যেহেতু ব্লগার মিথুন জিসানের চাচা ছিলেন, সেহেতু জিসান শুধুমাত্র মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিল এমনটি নয়। সে তার চাচার সাথে পানি, খাবার দিয়েও আন্দোলনকারীদের সহযোগিতা করেছিলেন। ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে আমরা ছত্র-জনতা যখন ট্রাফিকের কাজ করছিলাম, বন্যার্তদের জন্য ত্রাণসহ যতগুলো কাজ হয়েছে সে প্রত্যেকটি কাজে জিসান তার বন্ধুমহলকে নিয়ে যুক্ত ছিলেন। জিসান সেই ছেলেটি, যে আমাকে বলেছিল, আগস্টের পরে একটা বোনাস জীবন পেয়েছি। এ জীবনটাকে কাজে লাগাতে চাই। সদ্য ইন্টারপাস সেই জিসান এখনো জেলে। তার জামিন আবেদন কেন না মঞ্জুর করা হচ্ছে তার জবাব কেউ দিতে পারেনি।”

মুনা বলেন, “আমরা ৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চেয়েছি। সেই নতুন বাংলাদেশের যাত্রা মামলা-বাণিজ্যের যাত্রা হতে পারে না। মানুষকে রাতের আঁধারে, সেই পুরনো আওয়ামী ফ্যাসিজমের কায়দায় নিরীহ ব্যক্তিকে ঘর থেকে তুলে জেলে ভরার বন্দোবস্ত হতে পারে না। আমরা কোনোভাবে বলছিনা, জিসানের নিঃশর্তমুক্তি চাই। বরং আমরা শর্ত দিচ্ছি, অনার্সে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া অসুস্থ ছেলেটিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে এতদিন পর্যন্ত জেলে রাখলেন, এখন তার নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করবেন?”

‘এই রাষ্ট্র পুনরায় একই খেলায় মেতে আছে’- মন্তব্য করে এ ছাত্রনেতা বলেন, “এই রাষ্ট্রে যে আওয়ামীজমের চর্চা ছিল, সেখান থেকে বের হতে পারছে না। আমরা বলছি, এই আওয়ামীজমকে উৎখাত করাই নতুন বাংলাদেশের নতুন বন্দোবস্ত হবে। এই মামলা বাণিজ্য থেকে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করা, জিসানের মতো তরুণদের বাংলাদেশ গঠনের কাজে নিয়োজিত করাই নতুন বাংলাদেশের বন্দোবস্ত হবে। জিসানের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সঠিক তদন্তের মধ্য দিয়ে আইনি পক্রিয়ায় এই মুক্তি আমরা চাই।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়